বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন তার আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম। এ সময় তিনি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশ অনুসারে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার বিষয়ে মিন্নিকে সতর্ক করেন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগারে মিন্নির সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
প্রায় ৩০ মিনিটের সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে মাহবুবুল বারী সাংবাদিকদের জানান, কারাগারে মিন্নির সঙ্গে তার দুটি বিষয়ে কথা হয়েছে। একটি হচ্ছে উচ্চ আদালত মিন্নির জামিনের আদেশ দিয়েছেন। এ আদেশ অনুযায়ী কারাগার থেকে মিন্নির মুক্ত হতে আরও কয়েকটি আইনি প্রক্রিয়া ও দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এতে আরও দুই থেকে চার দিন সময় লাগবে। মিন্নি যাতে এ সময় হতাশাগ্রস্ত না হয়, এটা তিনি তাকে বুঝিয়ে বলেছেন।
অন্য বিষয় হচ্ছে- মিন্নির জামিন আদেশে গণমাধ্যমে কথা না বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে কথা বললে মিন্নির জামিন বাতিল হয়ে যাবে। তাই জামিনে মুক্ত হওয়ার পর যাতে কোনোভাবেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলেন, এ বিষয়টি তিনি মিন্নিকে বুঝিয়ে বলেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই আইনজীবী বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ যদি আপিল করে এবং আপিলের শুনানি হতে যদি সময় লাগে, তবে আদালত মিন্নির জামিনের আদেশ স্থগিত করতে পারেন অথবা যদি আপিল করার সঙ্গে সঙ্গে শুনানি হয়, তাহলে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন নামঞ্জুরও করতে পারেন। অথবা মিন্নির জামিনে মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করতে পারেন এবং এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়।
তবে খুব শিগগির মিন্নির সব দাপ্তরিক কাজ গুছিয়ে জেলখানায় রিলিজ অর্ডার পৌঁছাবে বলেও আশাবাদী আইনজীবী মাহবুবুল বারী।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মিন্নির জামিন আদেশ দেন। আদালতে মিন্নির জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মশিউর রহমান ও মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
গত ২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।