আলো ঝলমলে স্টেজ। চারপাশে সুন্দরীদের উপস্থিতি আরও মোহনীয় করে তুলেছে পরিবেশটাকে। তাদের দ্যুতিতে আলোকিত পুরো মঞ্চ। শুধু মঞ্চ না পুরো হলটাই আলোকিত। ঠিক এমন পরিবেশে নাম ঘোষণা হলো মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের সেরা সুন্দরীর। তিনি হলেন শিরিন শিলা। তার সঙ্গে এ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হলেন আলিশা ইসলাম এবং দ্বিতীয় রানারআপ জেসিয়া ইসলাম।
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন শিলার মাথায় ৭৫০টি ডায়মন্ড খচিত প্রায় ২০ লাখ টাকার শৈল্পিক মুকুট (ক্রাউন) পরিয়ে দেন সাবেক মিস ইউনিভার্স (১৯৯৪) ও বলিউড তারকা সুস্মিতা সেন। এই আয়োজনে অতিথি বিচারক ছিলেন তিনি। মূলত এ অনুষ্ঠানের জন্যই বুধবার দুপুরে সুস্মিতা ঢাকায় আসেন।
‘আমার আত্মবিশ্বাস, আমার সৌন্দর্য’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ফিনালে। চূড়ান্ত এ পর্বে সেরা ১০ থেকে মিস ইউনিভার্সের সেরার মুকুট জয় করেন শিরিন শিলা।
প্রথম ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ হওয়ার অনুভূতি জানিয়ে শিরিন শিলা বলেন, ‘এটা আমার জন্য দারুণ আনন্দের মুহূর্ত। কতটা আনন্দের সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন বিদেশেও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি। আজ থেকে আমিই বাংলাদেশ। আমার বাবা একজন সৈনিক। বাবার মতো আমিও দেশের জন্য কাজ করবো।’
মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের প্রথমবারের এ প্রতিযোগিতাটি যৌথভাবে আয়োজন করে রিজ ইভেন্টস, অফ ট্র্যাক ও ট্রিলজি। এটি শুরু হয় গেল সেপ্টেম্বরে। কয়েক হাজার প্রতিযোগী থেকে শীর্ষ ১০ জনকে বাছাই করা হয়। বিজয়ীরা ছাড়াও সেরা ১০ থাকা প্রতিযোগীর মধ্যে ছিলেন মারিয়া মুমু, সানোবার তাইফা, স্মৃতি আক্তার, আফলা আমরার, তামান্না ইসরাত সোহানি, ঈরানা ইশরাত ও তৌসিবা ইসলাম আনিতা।
গ্র্যান্ড ফিনালের আসরে বিজয়ীর মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন সুস্মিতা সেন। অনুষ্ঠানে মাঝে নেচে গেয়েও মুগ্ধ করেন তিনি। এর আগে মঞ্চে উঠে তিনি বলেন, ‘হ্যালো বাংলাদেশ। সুন্দর সব দেশেই সুন্দর। বাংলাদেশ এই সুন্দরকে নিয়ে এবার বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করছে, যিনি যাবেন তার জন্য শুভ কামনা।’
সুষ্মিতা সেনের সঙ্গে এদিন বিচারকের আসনে ছিলেন তাহসান খান, কানিজ আলমাস, টুটলি রহমান, রুবাবা দৌলা, ফারজানা চৌধুরী, ডিউক, ড. জারিন দেলোয়ার হোসাইন, আতাহার আলী খান ও স্টার ফারুক। আয়োজনের শুরু থেকেই বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন তারা।
‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ আয়োজনের চেয়ারম্যান রিজওয়ান বিন ফারুক মঞ্চে উঠে বলেন, সবার প্রতি ভালোবাসা। আপনাদের সহযোগিতায় প্রথমবারের এ আয়োজন আমরা সফলভাবে শেষ করতে পারছি। এবার যিনি বিজয়ী হলেন তিনি বাংলাদেশের হয়ে মিস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সে লড়বেন। আশা করি আগামীতেও আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন।