রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে নিজেদের দেশে ফেরা নিশ্চিত করতে চীনের অব্যাহত সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বুধবার চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে আবদুল হামিদ এ আহ্বান জানান।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন।
“রাষ্ট্রপতি সাক্ষাতের সময় বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। আমি আশা করি, মিয়ানমার যাতে নিজেদের এই নাগরিকদের ফেরত নেয়, সে লক্ষ্যে চীন ক্রমাগত চাপ দিয়ে যাবে। “
বাংলাদেশ যে সবসময় শান্তিপূর্ণ উপায়ে যে কোনো সমস্যার সমাধান চায়, সে কথাও রাষ্ট্রপতি নতুন রাষ্ট্রদূতকে বলেন।
এর আগে নতুন চীনা দূতকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং এই সম্পর্ক দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।
চীনকে অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের এই সহযোগিতা সামনের দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে আরও চীনা বিনিয়োগ আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতি দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
প্রেস সচিব বলেন, “চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের ভালো গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করে বলে চীনা দূত আলোচনায় জানান।”
“লিং জিমিং বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার দেশের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”
বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতাও চান চীনা দূত।
পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর প্রথম আবাসিক রাষ্ট্রদূত গুনিয়ার উরিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
নতুন দূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে আবাসিক মিশন চালু করার জন্য কসোভো সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে দ্বিপক্ষীয় যে সম্পর্ক দুই দেশ শুরু করল, তা ভবিষ্যতে বহুপক্ষীয় সম্পর্কের রূপ নেবে।
নতুন দূতকে দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রগুলো খুঁজে দেখতে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কসোভোকে স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয়। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কসোভোর দূত।
এর আগে দুই দূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাদের আলাদাভাবে গার্ড অব অনার দেয়।