মিয়ানমারের আইয়ারওয়াদী অঞ্চলের কিয়নপ্যাও জনপদের হ্লেসওয়ে গ্রামে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত এবং আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৫ জুন) এ ঘটনা ঘটে বলে খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ইয়াঙ্গুনের মূল শহর থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার (১০০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এলাকাটি।
স্থানীয় লোকাল মিডিয়া ও বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর লোকেরা গ্রামটিতে অস্ত্র খোঁজার নামে অভিযান চালাতে আসলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। তখন গুলতি ও ধনুক নিক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তুলে গ্রামের বাসিন্দারা। এ সময় সেনাদের গুলিতে প্রাণ হারান অন্তত ২০ জন। যা বিগত দুই মাসের মধ্যে একদিনের হিসাবে সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু।
বিভিন্ন মানবাধিকার গ্রুপগুলোর তথ্যমতে, গত ১ ফেব্রুয়ারি জান্তা সরকার কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ৮৪৫ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। শনিবার নতুন করে আরো ২০ জনের মৃত্যু হলো। সংখ্যাটা বাড়ছেই। যদিও এই সংখ্যাকে অস্বীকার করেছে জান্তা কর্তৃপক্ষ।
হ্লেসওয়ে গ্রামের সহিংসতার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে তাৎক্ষণিকভাবে জান্তা সরকারের মুখপাত্রের নিকট পৌঁছাতে পারেনি রয়টার্স। এমনকি তারা স্বাধীনভাবে রিপোর্টটির সত্যতাও যাচাই করতে পারেনি।
স্থানীয় খিট থিট মিডিয়া ও ডেলটা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, অন্তত ২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হয়েছেন। অস্ত্র খোঁজার নামে গ্রামের বাসিন্দাদের লাঞ্ছিত করলে সেনাদের বিরুদ্ধে গুলতি ও ধনুক নিক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করে তারা।