মিয়ানমারে মর্টার শেল বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ

image-819405-1719087414

দেশের দক্ষিণ সীমান্তের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে অগণিত মর্টার শেল বিস্ফোরণে কাঁপছে কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। কয়েক দিন বিরতির পরে আবারও শুক্রবার রাত থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত বিকট শব্দে চলেছে অগণিত ও অনিয়ন্ত্রিত মর্টার শেল বিস্ফোরণ।
প্রতিটি বিস্ফোরণে থরথর করে কম্পন অনুভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের পশ্চিম-দক্ষিণের গ্রামগুলোর আকাশে দেখা যাচ্ছে ঘরবাড়ি পোড়ানোর কালো ধোঁয়া।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সরকার বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে রাখাইনের বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে গ্রাম ছেড়ে দিগ্বিদিক ছুটছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তারা যেন আগের মতো সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও কোস্টগার্ড সীমান্তে এবং নদীতে টহল বাড়িয়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

তবে এ বিষয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের দপ্তর থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অনেকের ধারণা, আরাকান আর্মি তাদের দখল করা ঘাঁটিগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে এভাবে মর্টার শেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।

সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের আগে বেশি বিস্ফোরণ হলেও ঈদের দিন দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল। আবার শুক্রবার রাত থেকে ওপারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিস্ফোরণে টেকনাফ সদর, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, মৌলভীপাড়া, সাবরাং পানির ছড়া, নাজিরপাড়া, ডেইলপাড়া, শাহপীর দ্বীপ, হ্নীলা, নাইট্যংপাড়া, দমদমিয়া, জাদিমুড়া, রংগীখালী, পুরাতন বাজারসহ বেশ কিছু এলাকার ঘরবাড়ি কাঁপছে।

সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিদ্দিক আহমেদ জানান, বিস্ফোরণ মিয়ানমারে হলেও বিকট শব্দে আতঙ্কিত হচ্ছেন এলাকাবাসী।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, মিয়ানমারের সংঘাতে আমাদের এলাকাবাসী যেন আতঙ্কিত না হয় সেজন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়কের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তা ধরেননি।

Pin It