মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্বোধন ঘোষণা করেছে সরকার। এর ফলে মন্ত্রণালয়ে সেবাগ্রহীতাদের নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্তকরণ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপ্তি, মুক্তিযোদ্ধা সনদের তথ্য সংশোধনসহ প্রায় সব বিষয়ে সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবার আবেদন, সেবা সংশ্লিষ্ট অর্থ পরিশোধসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদন করা যাবে।
সরকারের মাইগভ প্ল্যাটফর্মের আওতায় র্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে আয়োজনগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় বলে জানিয়েছে এ২আই বিভাগ।
‘মাইগভ’-এর মাধ্যমে কোনো নতুন সফটওয়্যার তৈরি ছাড়াই এক মাসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে। ‘মাইগভ’ ডিজিটাল সেবার কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেবাগুলোকেও দ্রুততম সময়ে ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করা সম্ভব বলে জানিয়েছে এটুআই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মাইগভের আওতায় র্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম সম্পর্কিত’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইয়ের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরফে এলাহী।
প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে দুর্নীতি দূর হবে এবং সেবার মান বাড়বে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, এর মধ্যেই সব মন্ত্রণালয় মিলে প্রায় ১৭৮টি সেবা ডিজিটাইজড হয়েছে।
“আজকে একটি মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ৩৮টি সেবা যুক্ত হতে চলেছে।”
পলক আরও বলেন, “ইতোমধ্যে ৬০০ সেবা ডিজিটাইজড হয়েছে। আরও দুই হাজার দুইশ’ সেবা আমরা ২০২১ সালের মধ্যে চালু করতে চাই। সেক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।”
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালভাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জেষ্ঠ্য সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।