মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে কেউ যাতে ‘আত্মপ্রচারে’ মগ্ন না হন, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ক্ষমতা যে চিরস্থায়ী নয়- সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের ‘বিনয়ী’ হয়ে মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় তিনি বলেন, মুজিববর্ষে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড করতে নেতাকর্মীদের কোনো বাধা নেই। তবে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড যেন ‘আত্মপ্রচারের মাধ্যম’ না হয়।
“মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে প্রদর্শন করতে গিয়ে আত্মপ্রদর্শন যেন না হয়। পোস্টারে নাম দিতে পারেন। নিজেদের ছবি দেবেন না। কারো ছবি যাতে আমরা বিলবোর্ড, পোস্টারে না দেখি। এটা আমরা কঠোরভাবে মনিটর করব। ”
মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের নাম করে কেউ যাতে ‘চাঁদাবাজির দোকান’ না খোলে- সে বিষয়ে আবারও সতর্ক করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “চাঁদাবাজি করে এ অনুষ্ঠান যাতে কেউ না করে। ঘরে ঘরে গিয়ে মুজিব বর্ষ করতে হবে। অমুক দোকানদারকে এত দিতে হবে, অমুক ব্যবসায়ীকে অত দিতে হবে, অমুক বাড়িওয়ালাকে অত দিতে হবে- এসব বাড়াবাড়ি কোনো অবস্থায় সহ্য করা হবে না।”
বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে বিনয়, ধৈর্য্য আর ত্যাগের শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মুজিববর্ষে ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। আমরা ক্ষমতায় আছি, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।
“যতটা সম্ভব বিনয়ী থাকবেন। মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন। আপনাদের অনুরোধ করব, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আপনার যে কোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা করে… এই মুজিববর্ষের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখবেন।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী কাদেরের পরামর্শ- “আপনারা কোনো অবস্থায় মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে এলাকায় এমন কোনো আচরণ কারো সঙ্গে করবেন না, যাতে তারা কষ্ট পায়। কোনো প্রকার হয়রানির শিকার যেন কেউ না হয়। এটা আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রত্যেকটি প্রোগ্রাম সুন্দরভাবে করবেন।”
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।