কার্যকর সব ক্রিকেটারে গড়া খুলনা টাইগার্স দাপুটে জয়ে শুরু করেছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। ব্যাটে-বলে নিজেদের মেলে ধরে উড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছে খুলনা। ১৪৫ রানের লক্ষ্য ৩৭ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের দল।
ভালো শুরু কাজে লাগাতে পারেননি চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই ফিরেন থিতু হয়ে। ইনিংসে চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা খেলেন ৫৬টি ডটবল! দিতে হয় তারই মাশুল। উইকেটে যে ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন কিছু ছিল না সেটা বেশ বোঝা গেছে খুলনার ব্যাটিংয়ের সময়।
দলের সহজ জয়ের পথে বিপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে চট্টগ্রাম। চাডউইক ওয়ালটনকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন লেন্ডল সিমন্স। বেরিয়ে এসে শফিউল ইসলামকে ওড়ানোর চেষ্টায় ক্যারিবিয়ান এই ওপেনার বোল্ড হলে ভাঙে ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। শুরুর জুটিই শেষ পর্যন্ত তাদের সেরা জুটি। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ওয়ালটনকে থামান শহিদুল ইসলাম।প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জয়ের নায়ক ইমরুল কায়েস যেতে পারেননি বেশিদূর। রান আউট হওয়ার আগে এক ছক্কায় করেন ১২ রান। রান আউট হয়ে ফিরেন নুরুল হাসান সোহানও।
অনেকটা সময় ক্রিজে থাকলেও সময়ের দাবি মেটাতে পারেননি নাসির হোসেন। লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
শেষের দিকে বোলারদের ওপর চড়াও হন মুক্তার আলী। চার ছক্কায় এই অলরাউন্ডারের অপরাজিত ২৯ রানের ওপর ভর করে দেড়শর কাছে যায় চট্টগ্রামের স্কোর।
রান তাড়ায় শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায় খুলনা। বোলারদের ওপর চড়াও হন আরেক ওপনার গুরবাজ। ভাগ্য ছিল সঙ্গে, ব্যাটের কানায় লেগেও পান চার-ছক্কা। তার ব্যাটে ম্যাচের ফল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
১৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন গুরবাজ। বিপিএলে এরচেয়ে কম বলে ফিফটি আছে কেবল একটি। ২০১২ সালে প্রথম আসরে ১৬ বলে ফিফটি করেছিলেন আহমেদ শেহজাদ।পরের বলেই ফিরে যান গুরবাজ। ১৯ বলে খেলা তার ৫০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস গড়া পাঁচ ছক্কা ও চার চারে।
ততক্ষণে শট খেলতে শুরু করেছেন রাইলি রুশো। শুরু থেকে আস্থার সঙ্গে খেলেন মুশফিক। দুই জনের ব্যাটে বাকিটা সহজেই সারে খুলনা। ৩৮ বলে সাত চার ও দুই ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন রুশো। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করে দেওয়া মুশফিক করেন ২৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৪৪/৬ (সিমন্স ২৬, ওয়ালটন ১৮, ইমরুল ১২, নাসির ২৪, সোহান ১৯, মুক্তার ২৯*, এমরিট ১, রুবেল ৬*; আমির ৪-০-৩৩-০, ফ্রাইলিঙ্ক ৪-০-২১-১, শফিউল ৪-০-৩০-১, শহিদুল ৪-০-৩২-১, আমিনুল ৪-০-২৫-১)
খুলনা টাইগার্স: ১৩.৫ ওভারে ১৪৬/২ (শান্ত ৪, গুরবাজ ৫০, রুশো ৬৪*, মুশফিক ২৮*; নাসুম ২-০-১৮-১, নাসির ২-০-১৬-০, রুবেল ৩-০-৩১-০, এমরিট ১-০-১৮-০, মুক্তার ১-০-২০-১, উইলিয়ামস ২.৫-০-২৭-০, এনামুল জুনিয়র ২-০-১৬-০)
ফল: খুলনা টাইগার্স ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: রাইলি রুশো