বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় ওই সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা)।
অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার সই করা বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বরিশালে সংঘটিত ঘটনাবলির বিষয়ে আলােচনার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসােসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভা অ্যাসােসিয়েশনের সভাপতি ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনােয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
‘সভায় বরিশাল সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে সংঘটিত ঘটনাবলি বিষয়ে বিস্তারিত আলােচনা শেষে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মােকাবিলা করা হবে’ এবং ‘আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। ’
এতে বলা হয়, বরিশালের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে একজন নির্বাহী কর্মকর্তা কীভাবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের মাধ্যমে হেনস্থা হয়েছেন। তার বাসায় হামলা করা হয় যেখানে তার করােনা আক্রান্ত অসুস্থ বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই ওই কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করা হয়েছে, তার বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ব্যবহার করা হয়েছে, তার চামড়া তুলে নেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়ে মিছিল করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও তার দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটি করপােরেশনের কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে এবং সব জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসােসিয়েশন এমন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানায় এবং বরিশালের মেয়র যার অত্যাচারে সমগ্র বরিশালবাসী অত্যন্ত অতিষ্ঠ সেই সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর হুকুমেই এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
অতএব, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসােসিয়েশন অবিলম্বে তার গ্রেফতার দাবি করছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। ‘
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অত্যন্ত আস্থাবান এবং তার লালিত দেশপ্রেমের চেতনা ধারণ করে কাজ করছে উল্লেখ করে
এতে বলা হয়, আমরা দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকব, সেসঙ্গে এইসব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তকে আমরা আইনের মাধ্যমেই মােকাবিলা করব এবং আইনের শাসনের মাধ্যমে স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর যে অভিপ্রায়, সে ব্যাপারে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ এবং কোনো পরিস্থিতিতেই তারা সেই পথ থেকে বিচ্যুত হবে না।