কপি বা গাজর এদেশে শীতের সবজি হলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যায়।
তাই মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে শীতের সবজি গরমে ফলানো বা এক মৌসুমের ফল অন্য মৌসুমে পাওয়া গেলে সেসব থেকে কি একই উপকার মিলবে?
বিশ্বায়নের যুগে সারা বছরই বাজারে সব ধরনের ফল ও সবজি পাওয়া গেলেও স্বাদে পার্থক্য রয়েই যায়।
তাছাড়া মৌসুমে স্থানীয় পর্যায়ে চাষ করা সবজি ও ফল সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত অবস্থায় কাটা হয় এবং এর স্বাদ থাকে সর্বোচ্চ। আর পরিবহনের ক্ষেত্রেও এর পরিবেশগত অবস্থা প্রভাব রাখে।
ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্টের ‘অরলান্ডো হেল্থ’য়ের পুষ্টিবিদ সারা রিম বলেন, “সুযোগ থাকলে খাবার তালিকায় মৌসুমি ফল ও সবজি যোগ করা সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ এগুলো হাতের কাছে পাওয়া যায়, স্বাদ ভালো থাকে পাশাপাশি উপযুক্ত সময়ে কাটার ফলে পুষ্টিগুণ যেমন- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও ফাইটোক্যামিকেল অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি পাওয়া যায়।”
তিনি আরও বলেন, “ফল ও সবজি কাটার পর পরই সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর অবস্থায় থাকে এবং এই কারণে মৌসুমে সবচেয়ে পাকা অবস্থায় ফল ও সবজি সুস্বাদু হয়।”
অন্যদিকে, দূরে পণ্য পাঠাতে হলে তা নির্দিষ্ট সময়ের আগে তুলে ফেলতে হয় ফলে স্বাদ ও পুষ্টি দুটাই প্রভাবিত হয়। তাছাড়া পরিবহন ব্যবস্থাও পণ্যের মানে প্রভাব রাখে। কারণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সময়ের সাথে সাথে ক্ষয় পেতে থাকে বলে ব্যাখ্যা করেন, রিম।
তাহলে যা করা উচিত
গ্রীষ্মকালের ফল ও সবজি সম্পর্কে রিম বলেন, “ক্যাপ্সিকাম, বিশেষ করে লাল রংয়েরটা গ্রীষ্মকালের পরে পাকতে থাকে। আর সেগুলো ভিটামিন সি’র ভালো উৎস।”
ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং স্ট্রবেরিও গ্রীষ্মের ফল। তাই বলা যায় এগুলো গ্রীষ্মের ফল হিসেবে ভালো।
রিম জোর দিয়ে বলেন, “মৌসুমের বাইরের ফলের তুলনায় মৌসুমি ফল ও সবজিতে পুষ্টি উপাদানের মধ্যে ন্যুনতম পার্থক্য রয়েছে। আর তাজা ফল এবং শাকসবজির মধ্যে আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মৌসুম বা এর বাইরের সময়েও বিরাজ করে।”
তাই রিম পরামর্শ দেন, “সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজি খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো ঋতুতে বা ঋতুর বাইরে- যাই হোক না কেনো।”
তবে মৌসুমি ফল ও সবজি খাওয়া হলে তা থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি ও স্বাদ পাওয়া সম্ভব।