বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শুক্রবার। এবারের নির্বাচনে মিশা- জায়েদ প্যানেলের বিপরীতে স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী। নির্বাচনের একদিন আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে নিজের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলেন মৌসুমী।
প্রতিপক্ষ পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় নির্বাচনের দিন বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে- মন্তব্য করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য শুরু করেন মৌসুমী। তাই ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের সজাগ থাকার অনুরোধ করেন করেন এ নায়িকা।
বুধবার মিশা-জায়েদ পরিষদের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নারী নেতৃত্বে নিয়ে নানা কথা বলেন ওই প্যানেলের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সে বিষয়েও নানা প্রশ্নের উত্তর দেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় এ নায়িকা।
মৌসুমী সংবাদ সম্মেলনে তার নির্বাচনী ইস্তেহার তুলে ধরেন। তার নির্বাচনী ইশতেহারটি নিচে-
১. শিল্পীকে তার আত্মসম্মানের জায়গায় দেখতে চাই।
২. শিল্পী সমিতির অফিশিয়াল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা, যাতে শিল্পী সমিতির সকল কার্যক্রমএবং সম্মানিত সদস্যদের ডাটাবেজ ওয়ান ক্লিকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।
৩. শিল্পী সমিতির নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা হবে।
৪. শিল্পী সমিতি থেকে ওয়েব সিরিজ তৈরি করা হবে। তা থেকে লাভের সম্পূর্ণ অংশ শিল্পী সমিতির তাহবিলে প্রদান করা হবে এবং এই ওয়েব সিরিজে শিল্পীরা পর্যায়ক্রমে অনেকেই অভিনয় করবেন।
৫. চলচ্চিত্রের বর্তমান দূরাবস্থা থেকে মুক্তি লাভের জন্য চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় এবং প্রযোজক-পরিচালক সমিতির যে সমস্ত কার্যক্রম গ্রহণ করছেন তাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করবো।
৬. শিল্পীদের সহযোগিতায় এবং সমন্বয়ে প্রতিবছর একটি করে এক্সিভিশন আয়োজন করা হবে। এখানে তারকাদের স্বাক্ষর, ছবি ও স্বরণিকা বিক্রি করা হবে। এ থেকে আয় জমা হবে শিল্পী সমিতির ফান্ডে।
৭. বয়স্ক ভাতা চালু করবো। বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত দাতাদের নিকট হতে ফান্ড কালেক্ট করে আলাদা একটি একাউন্ট করে বয়স্ক ভাতা পরিচালনা করা হবে।
৮. স্বল্প আয়ের শিল্পীদের কর্মসংস্থান তৈরীর লক্ষ্যে হস্ত শিল্প বা কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরী করা হবে। যে সকল শিল্পীদের হাতে কাজ কম, তারা ডেইলি ভিত্তিতে এখানে কাজ করবে। এখান থেকে আয়কৃত টাকা শিল্পী সমিতির ফান্ডে জমা দিয়ে শিল্পীদের কলাণেই ব্যয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে মৌসুমী বলেন, সত্যি বলতে, প্রায় সবগুলো ইশতেহারই আমার পছন্দ হয়েছে, আরো বেশি পছন্দ হয়েছে একদম যুগোপযোগী বলে। এগুলো বাস্তবায়নের সুযোগ দিলে এবং বাস্তবায়িত হলে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের কর্মব্যস্ততা, সম্মান এবং জনপ্রিয়তা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।