যতদিন বাঁচি সম্মানের সঙ্গে যেন বাঁচতে পারি : প্রধানমন্ত্রী

1601312850_14

নিজের ৭৪তম জন্মদিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জীবনে বাকি আর যতদিন বেঁচে থাকেন সেটা যেন সম্মানের সঙ্গে হয় এবং মানুষের উপকারে যেন আসে সেই কামনা করেছেন তিনি। নিজের জন্মদিনে সহকর্মীদের সঙ্গে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী এই ফোরামে জন্মদিনের কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না তারই নির্দেশনায়।

গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উদযাপন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিয়েছেন যে কোনো রকম কোনো আনুষ্ঠানিকতা না। যারা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উনার জন্য দোয়া কামনা করেছেন, উনার সফলতা কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী (উনি) ব্যক্তিগতভাবে এটা (জন্মদিন উদযাপন) আগ্রহ করতে চান নাই।

অ্যাটর্নি জেনারেল ও সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে তার সরকারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য একটি বিরাট ক্ষতি, রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতি। কারণ প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও মেধা আমাদের দেশের জন্য রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি অত্যন্ত ধীরস্থির ও ঠান্ডা মাথায় সবকিছু বিবেচনা করতেন। অনেক জটিল মামলা ভালোভাবে সমাধান করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি যে, এই কয়েকটা বছর আমরা দেখেছি বাংলাদেশে অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আমরা এই জায়গাটায় এসেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই দেশটাকে যেন জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে পারি। বাংলাদেশের মানুষ যেন বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, ওইটুকুই আমার প্রচেষ্টা আর কিছু না। নইলে বাবা-মা সব হারিয়ে রিক্ত নিঃস্ব হয়ে এই দেশে এসে কাজ করা, এটা খুবই কঠিন কাজ। তার পরও শুধু একটা কথা চিন্তা করেছি- যে দেশটাকে আমার বাবা এত ভালোবেসেছেন, যে দেশের মানুষকে। তাদের জন্য কিছু করে আমাকে যেতে হবে। তার স্বপ্নটা যেন অপূর্ণ না থাকে সেটি যেন পূর্ণ করতে পারি। দেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস না এলে আমরা আরও অনেক কাজ করতে পারতাম। তার পরও যত বাধাবিঘœ আসুক সেটি অতিক্রম করার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের মানুষ রাখে। এ জন্য বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানাই।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৩ পেরিয়ে ৭৪ বছরে পা দিয়েছেন গতকাল। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বড় সন্তান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপনে নানা কর্মসূচি পালন করছে তার দল আওয়ামী লীগ। তবে করোনা ভাইরাস মহামারিকালে সরকার প্রধানের জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকতা নেই সরকারের মধ্যে।

Pin It