করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনে ছয়টির মধ্যে কোনো রকমে দুটি ফ্লাইট চালালেও দ্বিতীয় দিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কোনো ফ্লাইট চলেনি।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই বিমান পরিবহন সংস্থার জনসংযোগ শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, মঙ্গলবার বিমানের ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে দুটি করে মোট ছয়টি ফ্লাইট থাকলেও যাত্রী সংকটে সবগুলো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সোমবারই বিমানের ওয়েবসাইটে ফ্লাইট বাতিলের তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দুই মাসের লকডাউন শেষে রোববার সীমিত পরিসরে অফিস খোলার পরদিন সোমবার গণপরিবহন চালুর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটও চালু হয়।
প্রথম দিনেও তিন রুটে ছয়টি ফ্লাইট চালানোর সূচি থাকলেও যাত্রী সংকটের কারণে শুধু সৈয়দপুর রুটের দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। তাও ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় মাত্র চারজন এবং ফেরার পথে ২০ জন যাত্রী পায় বিমান।
আভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিন যাত্রীর চাপ কম
বুধবার সকাল থেকে বিমানের সৈয়দপুর রুটে ২টি, চট্টগ্রামে ১টি ও সিলেট রুটে ১টি ফ্লাইট রয়েছে জানিয়ে তাহেরা খন্দকার বলেন, যাত্রী সংকট থাকলেও ওই সব ফ্লাইটও বাতিল হতে পারে।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেই আবারও যাত্রী পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে আসন সংখ্যার সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ যাত্রী বহনের অনুমতি দিলেও সোমবার বেশিরভাগ ফ্লাইট চলেছে তার চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে।