যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড– এ প্রশ্নে আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানির জন্য আগামী ৯ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ হবে কি-না সে বিষয়ে আইনগত পরামর্শ তুলে ধরতে চার সিনিয়র আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন– ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এফ হাসান আরিফ, মুনসুরুল হক চৌধুরী ও আবদুর রেজাক খান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। অন্যদিকে আসামির রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শিশির মনির।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আমৃত্যু পর্যন্ত, নাকি একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত- আদালতে সিদ্ধান্তের পর পরিষ্কার জানা যাবে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ৯ মে রিভিউ শুনানি হবে।
এর আগে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর একটি হত্যা মামলায় দুই আসামি আতাউর মৃধা ওরফে আতাউর ও আনোয়ার হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য হাইকোর্টে আসে। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল আবেদন করেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাসসহ সাত দফা অভিমত দেন। এরপর আপিলের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে আসামিরা।