বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে রেখেই বৃহত্তম বাণিজ্যিক জোট গড়া হচ্ছে এশিয়ায়। এই জোটে যোগ দিচ্ছে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তত ১৫টি দেশ বলে জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জানা যায়, আজ রোববার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে হতে চলেছে এই জোটের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব (আরসিইপি) চুক্তি। এই কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় আঘাত এবং চীনের অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি আরও বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
রয়টার্স বলছে, ২০১৭ সালে এই চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে সেখান প্রত্যাহার করে নেন। এরপর তা পিছিয়ে যায়। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে বের হওয়ার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব অনেকটাই কমে যাবে। তবে লাভ হচ্ছে চীনের।
জানা যায়, এই জোটের সদস্য হিসেবে যুক্ত হচ্ছে আসিয়ানভুক্ত ১০টি দেশ, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। মুক্তবাণিজ্যের প্রসারে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই বিভিন্ন খাতের শুল্ক কমাবে জোটভুক্ত দেশগুলো।
অর্থনৈতিক সেবা বিষয়ক সংস্থা আইএনজির বৃহত্তর চীন অঞ্চলের শীর্ষ অর্থনীতিবদ আইরিস প্যাং বলেন, বিদেশি বাজার ও প্রযুক্তির ওপর চীনের নির্ভরশীলতা অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে আরসিইপি।
বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ থাকবে এই জোটের অধীনে। প্রায় ২২০ কোটি ভোক্তার বাজারও থাকবে আরসিইপির দখলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বৃহত্তম জোট থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দেয়া ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতাচ্যুত হলেও নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের খুব শিগগিরই এদিকে নজর দেয়ার সম্ভাবনা নেই। হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পর প্রথম বছরে তিনি করোনা সংকট মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো সামলাতেই ব্যস্ত থাকবেন।