যুক্তরাষ্ট্রের মানব পাচার প্রতিবেদনে উন্নতি বাংলাদেশের

image-161686-1593216163

বৈশ্বিক মানব পাচার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানব পাচার নির্মূলে বাংলাদেশ সরকার ন্যূনতম মানদণ্ড অর্জন করতে না পারলেও আগের চেয়ে ভালো প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এজন্য বাংলাদেশকে দ্বিতীয় স্তরে (টায়ার-২) উন্নীত করা হয়েছে। গত তিন বছর ধরে দ্বিতীয় স্তরের পর্যবেক্ষণ তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও তার মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেন।

প্রতিবছর বিশ্বের দেশগুলোকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ট্রাফিকিং ইন পারসন (টিআইপি) শীর্ষক এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো—স্তর-১ (টায়ার-১), স্তর-২ (টায়ার-২), স্তর-২ পর্যবেক্ষণ তালিকা (টায়ার-২ ওয়াচলিস্ট) এবং স্তর-৩ (টায়ার-৩)। যেসব দেশ পাচার প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে, সেই দেশগুলো টায়ার-১ এ রাখা হয়ে থাকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি মানব পাচারকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মানব পাচার সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সাতটি বিভাগীয় শহরে ট্রাইব্যুনাল গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মানবিক প্রবেশাধিকার দিয়ে আসছে। যদিও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ন্যূনতম মান অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ।

এদিকে মার্কিন প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থানে উন্নতি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্তর-২ পর্যবেক্ষণ তালিকায় (টায়ার-২ ওয়াচলিস্ট) চলে যাওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়। মার্কিন সহায়তা এবং বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ এর সহজ শর্তের ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। খুশির খবর এই যে, আমাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

Pin It