যুবলীগ চেয়ারম্যান আত্মগোপনে নেই

bd-pratidin-1-2019-10-13-12

রাজশাহী সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে গতকাল দুপুরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যুবলীগের চেয়ারম্যান নজরদারিতে আছেন কিনা- পরে জানা যাবে। তবে তিনি আত্মগোপনে নেই। পরে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় সব ধরনের অপরাধীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, সন্ত্রাসীরা সাবধান, ভূমি দখলকারীরা সাবধান, জুয়াড়িরা সাবধান, টেন্ডারবাজরা সাবধান, চাঁদাবাজরা সাবধান, মাদক ব্যবসায়ীরা সাবধান- শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। এই অ্যাকশনের টার্গেট থেকে কোনো অপকর্মকারী রেহাই পাবে না।

গতকাল দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এই সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, যারা দলের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধপন্থায় বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। তার নির্দেশেই শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযান শুধু ঢাকা সিটিতেই নয়, সারা বাংলাদেশে চলবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না। মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। দুঃসময়ের ত্যাগি নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে আওয়ামী লীগ টিকে থাকতে পারে না। আজকে বসন্তের কোকিলরা যদি দলের নেতৃত্ব নেয়, তারা যদি প্রাধান্য পায়, আবারও দুঃসময় আসতে পারে। তিনি বলেন, খারাপ লোকের আমাদের দরকার নেই। ক্লিন ইমেজের পার্টি দরকার, আগামী জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে আমরা আমাদের দলকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মডেলে ঢেলে সাজাতে চাই।

দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। আমার দুষ্টু গরুর দরকার নেই। ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পক্ষে নয় আমরা। যারা ছাত্র রাজনীতির নামে অপকর্ম করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। রাজনীতিবিদদের অধিকাংশেরই হাতেখড়ি ছাত্র রাজনীতি থেকে। কাজেই মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা সমাধান নয়। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল জামায়াত পরিবারের সন্তান। আবরার হত্যাকান্ডে জড়িতদের বেশিরভাগই জামায়াত-বিএনপি পরিবারের সন্তান। এদের দলে নিল কে? হালাল করল কে? এদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জন ধূলিসাৎ হতে দেওয়া যায় না।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান খান, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং সদস্য মেরিনা জাহান। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় পরারাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এমপি, পাবনার এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্স, রাজশাহীর এমপি এনামুল হক, আয়েন উদ্দিনসহ বিভাগের অন্যান্য আসনের এমপিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য দিতে পারেননি রাজশাহীর সভাপতি-সম্পাদক : রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় রাজশাহীর সাত জেলার সভাপতি-সম্পাদক বক্তব্য দিলেও বক্তব্য দিতে পারেননি রাজশাহীর সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।

কোন্দলের কারণে বক্তব্য দিতে না দেওয়ার বিষয়টি সভায় জানিয়ে দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

Pin It