যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া এ বৈঠকে দেখা যায়নি যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও আতিউর রহমান দিপুকে।
গণভবনে প্রবেশ করা এক নেতা জানান, বৈঠকে যারা থাকবেন তাদের তালিকা টাননো হয়েছে। ওই তালিকায় চার নেতার নাম নেই।
দুর্নীতি ও ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে এর সঙ্গে জড়িত যুবলীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার নাম উঠে আসে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কয়েকজনের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তলব করা হয় তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। শুরু থেকেই এক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসবের মধ্যে বিতর্কিত যুবলীগ নেতাদের গণভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, বিতর্কিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় তাদের বৈঠকে ডাকা হয়নি। অর্থাৎ এই চার নেতা গণভবনে নিষিদ্ধ হয়েছেন। তারা আগামীতে যুবলীগের কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। সংগঠনের জাতীয় কংগ্রেসেও তাদের সম্পৃক্ততা থাকবে না।
তাদের দৃষ্টিতে, অতীতে আর কখনই সংগঠনের কংগ্রেসের আগে এই ধরণের বৈঠক হয়নি। কিছু নেতার বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার কারণে বৈঠকটি হয়েছে।