যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিনামূল্যে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাওয়ার নেপথ্যের কারিগর কীর্তিমান চার বাংলাদেশি প্রশংসায় ভাসছেন সিলেট তথা সারাদেশে। দেশের জন্য এমন অবদান রাখায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অনেকেই। করোনা সংকটকালে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন যারা তারা হলেন কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান, কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান, নেফ্রোলজিস্ট প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক ও সাবেক সিনিয়র ইউএন অফিসিয়াল মাহমুদ উস শামস চৌধুরী।
এদিকে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের উদ্যোগের কথা জানিয়ে একটি সুখবর দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছি আমরা। ইউরোপীয় একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশি একটি প্রতিষ্ঠান আগামী অক্টোবর নাগাদ দেশে ভ্যাকসিন উত্পাদন শুরু করতে পারবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, কেউ আমাদের কোটি কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে দেবে না, কিনতেও পারব না। ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। তাই দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের এই উদ্যোগ।
কমলা হ্যারিস ও ক্যাথরিনের আন্তরিক সহযোগিতা :
বাংলাদেশে করোনা মহামারি তীব্র আকার ধারণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন সংকটে পড়ে। সেই সময় আমেরিকা থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় মডার্নার ৫৫ লাখ ও ফাইজারের ১ লাখ ৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পায় বাংলাদেশ। প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান ও প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল বাইডেন প্রশাসনের ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি। কাজটি খুবই কঠিন ছিল। সিনেটর ক্যাথরিনের ব্যক্তিগত চিকিত্সক কার্ডিওলজিস্ট ডা. হাফিজ। ক্যাথরিনের মাধ্যমে আমরা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের শরণাপন্ন হই। কমলা হ্যারিস ও ক্যাথরিনের আন্তরিক সহযোগিতায় কমিটিতে প্রফেসর ডা. হাফিজকে অন্তর্ভুক্তে সক্ষম হই। ভ্যাকসিন পাবে এমন দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি। প্রথম তালিকায় বাংলাদেশের নাম ছিল না। তাদের প্রচেষ্টায় ১৮১টি দেশের মধ্যে মাত্র ১৮টি দেশের তালিকায় স্থান পায় বাংলাদেশ। ভেন্টিলেটর প্রসঙ্গে তারা বলেন, মেড ইন আমেরিকা ব্র্যান্ড নিউ এই ভেন্টিলেটরের প্রতিটির দাম ১৫ হাজার ডলার। আমরা এগুলো পেয়েছি সম্পূূর্ণ বিনা মূল্যে। ভেন্টিলেটর পাওয়া সম্ভব হয়েছে কমিটিতে আমাদের উপস্থিতির কারণে।
এই চার কীর্তিমানকে দেশবাসীর পক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) এম এ সালাম (বীর-উত্তম), প্রফেসর ডা. আজিজুর রহমান, প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ মুর্শেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতাউল করিম (সিআইপি) ডা. এম এ মজিদ, ডা. কাজী মুশফিক আহমদ, ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধূরী বাহার, সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার জুবের আহমদ চৌধূরী, ডা. নাজমুস সাকিব, ডা. এম এ মজিদ, ডা. মুশফিক আহমদ, সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।