যেসব পানীয়তে ঝরবে দিনের ক্লান্তি

chamomile-tea-201124-1732099278

পান করে ফিরে পেতে পারেন প্রাণশক্তি।

চাপযুক্ত একটা দিন শেষে একটু আরামের জন্য কত কিছুই না করা হয়। টিভি দেখা, প্রিয় কোনো খাবার খাওয়া বা শুধুই হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকা।

আর ক্লান্ত ও চাপ পূর্ণ দিনের পর এক কাপ চায়ে চুমুক দিতে পারে প্রশান্তি। এরকম আরও পানীয় রয়েছে যেগুলো উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।

আরামবোধ দিতে পারে যেসব উপাদান

“শান্তিময় পানীয়’ পান করার ক্ষেত্রে কয়েকটি উপাদানের দিকে লক্ষ রাখতে হয়”- রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন নিউ ইয়র্ক সিটি ভিত্তিক পথ্যবিদ্যাবিদ ক্যারলিন শ্নাইডার।

যেমন- ম্যাগনেসিয়াম’য়ের মাত্রা কম থাকার সাথে উচ্চমাত্রায় উদ্বেগে ভোগার সম্পর্ক রয়েছে।

শ্নাইডার বলেন, “গামা-অ্যামিনোবিউটিরিক অ্যাসিড (গাবা) রিসিপটরস’য়ের কার্যকারিতায় সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। যা কিনা স্বস্তি পাওয়ার জন্য জরুরি।”

একইভাবে অশ্বগন্ধাতে রয়েছে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর গুণ যা ‘গাবা রিসিপটরস’কে উন্নত করে।

এল-থিয়ানাইন এবং বি ভিটামিন আরামবোধ করতে সাহায্য করে। তাই বাজার থেকে এই ধরনের পানীয় সংগ্রহ করার সময় এসব উপাদান আছে কিনা দেখে নিতে হবে। পাশাপাশি সেগুলো যেন প্রাকৃতিক হয়, সে ব্যাপারে লক্ষ রাখতে হবে।

ক্যামোমাইল টি

এই চা’কে কোনো কোনো সময় হালকা আরামদায়ক বা উত্তেজনা কমানোর উপাদান হিসেবে দেখা হয়।

শ্নাইডার বলেন, “ক্যাফিনহীন এই পানীয়তে রয়েছে এপিজেনিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের ‘রিসিপটরস’য়ের সাথে আবদ্ধ হয়ে আরাম প্রদান করে।”

এরপর কোনো ক্লান্তিকর দিন শেষে বাসায় ফিরে এই ভেষজ চা পান করার চেষ্টা করে দেখুন, কতটা আরাম দেয়- পরামর্শ দেন শ্নাইডার।

গ্রিন টি

হালকা ক্যাফিনযুক্ত ‘সুপার’ পানীয় আরামবোধ দিতে দারুণভাবে আরাম দিতে পারে।

এতে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ‘এল-থিয়ানাইন’ মানসিক ও শারীরিক চাপ কমায়। মস্তিষ্কে ‘আলফা ওয়েভ’ বাড়িয়ে শান্তিময় অনুভূতি দিতে সাহায্য করে- জানান শ্নাইডার।

হট চকলেট

শীতকালিন পানীয় হিসেবেই শুধু নয়, এতে থাকা কোকোয়া’তে রয়েছে ট্রিপটোফেন। এই অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটনিন এবং মেলাটনিন উৎপন্ন করতে পারে। যা আনন্দকর অনুভূতি দেয়।

চেরি ফলের জুস

রয়েছে ‘মেলাটনিন’, ‘ট্রিপ্টোফ্যান’ এবং ‘প্রোসায়ানিডিন বি-টু’ যা অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে পারে। আর দিতে পারে আরাম এবং ঘুমের মানের উন্নতি ঘটায়।

কুসুম গরম দুধ

দীর্ঘ ক্লান্তিকর দিবসের শ্রান্তি ঝরিয়ে দিতে পারে। দুধে থাকা ট্রিপটোফ্যান, মেলাটনিন, ল্যাক্টস, বি-ভিটামিনস এবং ম্যাগনেসিয়াম দেয় শান্তিদায়ক অনুভূতি। আর কুসুম গরম অবস্থায় খেলে তাৎক্ষণিক আরাম দিতে সাহায্য করে।

Pin It