দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার জন্য আগামী সোমবার (২৮ জুন) দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে পরে ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সারাদেশে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তবে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বেই অবশ্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, জুন ক্লোজিংয়ের জন্য সীমিত পরিসরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও হিসাব সংক্রান্ত কিছু অফিস খোলা থাকবে।
শনিবার (২৬ জুন) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সেই ইঙ্গিত বাস্তবায়ন হয়েছে। অর্থাৎ আগামী সোমাবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে লকডাউন বাস্তবায়ন হবে। এমনকি ৩০ জুন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেন চলবে। আর ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জরুরি পরিষেবা বাদে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস আদালত বন্ধ থাকবে।
জানা গেছে, শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য রোববার জানানো হবে।
তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সীমিত পরিসরে লকডাউন। এই সময় থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সীমিত পরিসরে কিছু প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্র খোলা থাকবে। আর সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে ১ জুলাই থেকে। তবে শিল্প কলকারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে থাকতে পারে।
সূত্রে জানা গেছে, সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হলেও অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। ব্যাংক খাতে জুন মাসের ক্লোজিংয়ের জন্য ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সীমিত আকারে লকডাউন থাকবে।