ভুল তো ভুলই! ভুল নিয়ে কেন এত কথা! অনেকে হয়তো বলবেন, যা হয়ে গেছে তা নিয়ে আর বলে কী লাভ !
হ্যাঁ, লাভ তো অবশ্যই আছে। আপনাকে শিখতে হলে ভুল থেকেই শিখতে হবে। আপনি যদি নিজের ভুলগুলোকে মার্কিং করে পরবর্তীতে সেই ভুল না করার যথেষ্ট চেষ্টা করেন, তাহলে অবশ্যই উন্নয়ন সম্ভব।
তাছাড়া সংশোধনের উদ্দেশ্যে ভুল নিয়ে কথা বলতে সমস্যা কোথায়।
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ১৭১ রানের লিড নেয়ার পর থেকেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। অধিনায়ক মুমিনুল হকের অপরিপক্ব সিদ্ধান্তের কারণেই এমনটি হয়েছে।
চতুর্থ দিনের করা ১১০/৩ রান নিয়ে রোববার ফের ব্যাটিংয়ে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য শেষ দিনে অতিথিদের করতে হতো আরও ২৮৫ রান।
৩৭ ও ১৫ রানে অপরাজিত থেকে শেষ দিনে খেলতে নেমে অনবদ্য ব্যাটিং করে যান কাইল মায়ার্স ও এনকেরুমা বোর্ন। ক্যারিবীয় এই দুই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানই হতাশার সাগরে ডোবাল বাংলাদেশকে।
৪৪২ বলে ২১৬ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়েছেন মায়ার্স ও বোনার। তবে এতবড় জুটি গড়ে দিতে অবদান রেখেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও। দুই-দুইবার জীবন পেয়েছেন মায়ার্স। ৪৯ রানে স্লিপে দেওয়া তার ক্যাচ মিস করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর এলবিডব্লিউতে আউট হলেও রিভিউ নেননি অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ।
একইরকম ভুল করা হয়েছে এনকেরুমার বেলায়ও। তার বেলায়ও রিভিউ নেননি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে- লেগস্ট্যাম্প উপড়ে ফেলত বলটি।
সেই এনকেরুমা করেছেন ৮৬ রান আর মায়ার্স খেললেন অবিস্মরণীয় ২১০ রানের ইনিংস।
তাদের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়েই জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের।