জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন এরশাদপুত্র রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় দলের বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সল চিশতী, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সফিকুল ইসলাম, যুবনেতা লিয়াকত হোসেন খোকা এমপিসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী।
সাদ এরশাদ বলেন, বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই। দল যদি মনোনয়ন দেয় তাহলে রংপুর তথা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি রাজনীতির বাইরে কখনই ছিলাম না। ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি দেখে এসেছি। ৫ বছর বয়সে কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজত খেটেছি। সম্ভবত এতো কম বয়সে আর কোনো রাজনীতিবিদককে করাগারে যেতে হয়নি।
রংপুরে সাদ এরশাদের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে- এটাকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় দলের মধ্যে অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকতে পারেন। অনেকের পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। এটা বড় সমস্যা নয়। সময় মতো সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার দুপুরে মা রওশন এরশাদের গাড়িতে করে দলের বনানী অফিসে আসেন সাদ। গাড়ি থেকে নেমে সোজা দ্বিতীয় তলায় গিয়ে পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। সেখানে আগে থেকেই অবস্থানকারী দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন সাদ।
এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে অন্যতম মনোনয়নপ্রত্যাশী সাদ এরশাদ। পার্টি সূত্র জানিয়েছে, দলীয় মনোনয়ন অনেকটা তার দিকেই ঝুঁকে রয়েছে। এর আগে এই আসনের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির। ৬ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন ফরম উত্তোলনকারীদের সাক্ষাৎকার নেবে পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ড।
১৪ জুলাই এইচ এম এরশাদের মৃত্যূতে আসনটি শূন্য ঘোষিত হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর। যাচাই-বাছাই ১১ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৬ সেপ্টেম্বর।