রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি প্রার্থীকে সমর্থন দেবে—এমনটাই আশা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান। তিনি বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করেছেন। আর আসনটি ১৯৮৬ সাল থেকেই জাতীয় পার্টির। আবার জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও এই আসনে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।
এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ অক্টোবর। এ আসেন ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে প্রয়াত এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি শাদ এরশাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের যৌথ সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করেন মসিউর রহমান। তিনি বলেন, বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
আজ মসিউর বলেন, রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন পরিচালনার জন্য পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে আহ্বায়ক এবং তাঁকে (মসিউর) সদস্যসচিব করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মসিউর রহমান বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাহগীর আল মাহি শাদ এরশাদের পক্ষে ইতিমধ্যেই প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ শুরু হয়েছে।
মসিউর বলেন, রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন। জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অন্তত এক লাখ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হবেন।
রংপুর-৩ আসনে এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারও প্রার্থী হয়েছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মসিউর বলেন, জীবদ্দশায় এরশাদ তাঁর ভাতিজা আসিফকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছেন। তাই আসিফ এখন আর জাতীয় পার্টির কেউ নন। গত রংপুর সিটি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সামান্যসংখ্যক ভোট পেয়েছিলেন আসিফ। তাই এ আসনের উপনির্বাচনে আসিফ কোনো আলোচ্য বিষয় নয়।
বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের আহ্বায়ক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সদস্য হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব আলমগীর সিকদার, বরিশাল বিভাগের আহ্বায়ক প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া, সদস্যসচিব এমরান হোসেন মিয়া প্রমুখ।