করোনাকালে শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে করোনার ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই। এই সময়ে অনেকেই নানা আতঙ্কে কাটান এবং দীর্ঘসময় ধরে বাসাবাড়িতে অবস্থান করেন। এতে করে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। তাই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের জন্য অন্যতম জরুরি উপাদান হলো পটাশিয়াম। তাই খাবারে রাখতে হবে পটাসিয়াম। ফলের মধ্যে কলা খেলে পটাশিয়াম ঘাটতি নিয়ে চিন্তা থাকে না। মাঝারি আকারের একটা কলায় পটাসিয়াম থাকে প্রায় ৪২২ মিলিগ্রাম। কিন্তু অনেকেই কলা খেতে পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে শাক, টমেটো, ফলের রস এবং সব রকমের ডালে মিটবে পটাশিয়ামের ঘাটতি।
এই সময়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। তাই যাদের কলা খেতে সমস্যা নেই, তারা কলা তো খাবেনই এর সঙ্গে আরও যা খেতে পারেন তা জেনে নিন…
ডাবের পানি
চিকিৎসকরা বলেন, পুষ্টির সমাহার রয়েছে ডাবের পানিতে। এক কাপ ডাবের পানিতে প্রায় ৪০৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত ডাবের পানি খেলে পটাশিয়ামের ঘাটতি দূর হবে। তাতে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।
বেদানা
এই ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট। ১০০ গ্রাম বেদানায় পটাশিয়ামের পরিমাণ ২৩৬ মিলিগ্রাম। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর এটি। তাই খাবারের তালিকায় বেদানা রাখার চেষ্টা করুন।
লেবুজাতীয় ফল
পটাশিয়ামের সমাহার রয়েছে মোসাম্বিতে। ১০০ গ্রাম মোসাম্বিতে রয়েছে ৪৯০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। এছাড়া ১০০ গ্রাম কমলালেবুতে রয়েছে ১৮১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম। যে কোন লেবুতে পাবেন পটাশিয়াম।
তরমুজ
এই ফলে পানির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় উপকারী তরমুজ, এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। মাত্র এক টুকরা তরমুজে (গোটা তরমুজের ১৬ ভাগের এক ভাগ) ৩২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। যা প্রতিদিনের প্রয়োজনের প্রায় ৭ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম।
আলু
খাবারে আলু থাকে না, এ রকম মানুষ পাওয়া বেশ দুষ্কর। ১০০ গ্রাম আলুতে ৪২১ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম রয়েছে। তাই সহজেই অপরিহার্য উপাদানের ঘাটতি মেটায় এই সবজি। মিষ্টি আলুতেও পটাসিয়ামের মাত্রা যথেষ্ট। ১০০ গ্রাম মিষ্টি আলুতে পটাশিয়ামের পরিমাণ ৩৩৭ মিলিগ্রাম।
অ্যাপ্রিকট বা খুবানি
শুকনো অ্যাপ্রিকট যদি দিনে ৬টা খাওয়া যায়, তাহলে সহজেই ৪৮৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম পাওয়া যেতে পারে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে, চোখ ভাল থাকবে এবং হাড়ের গঠনও মজবুত হবে।
পালং শাক
এই শাক পুষ্টির সমাহার বললে ভুল হবে না। অপরিহার্য ভিটামিন এ, সি, কে ছাড়াও রয়েছে ফোলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম। এক কাপ পালং শাকে প্রায় ৫৪০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে পালং।
আপনার প্রতিদিনের খাবারে উপরোক্ত খাদ্যদ্রব্যগুলোকে সংযুক্ত করুন। তাতে করে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভালো থাকবে হৃদযন্ত্র, এর সঙ্গে কিডনিও ভাল থাকবে।