ক্যালিফোর্নিয়ার খাদ্য উৎসবে তিনজনের মৃত্যুর পর রেশ না কাটতেই আবারও রক্ত ঝরল যুক্তরাষ্ট্রে।
শনিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দেশটির দুই অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে ২৯ জন। টেক্সাসে পুলিশ হামলাকারীকে ধরতে সক্ষম হলেও পুলিশের গুলিতে মারা পড়েছে ওহাইওর বন্দুকধারী । দুই ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৪০ জনের বেশি।
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি খাদ্য উৎসবে এক ধরনের ঘটনায় তিনজনের প্রাণহানির ছয়দিনের মধ্যে টেক্সাস এবং ওহাইওতে হামলার ঘটনা ঘটল।
রয়টার্স বলছে, শনিবার প্রথম হামলা হয় টেক্সাসে। বেলা ১১টার দিকে; যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের কয়েক মাইল দূরে এল পাসোর সিয়েলো ভিস্তা শপিং মলে ওয়ালমার্টের দোকানে।
হামলার আগের একটি ভিডিওতে ওই যুবককে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল হাতে ওয়ালমার্টের ওই শপিং মলে ঢুকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে এল পাসোর টেলিভিশন কেটিএসএম।
ঢোকার সময় ওই যুবকের চোখে ছিল চশমা, কানে হেডফোন, পরনে ছিল খাকি রঙের প্যান্ট, গাঢ় রঙের টি-শার্ট।
ব্যস্ত সময়ে ওয়াল মার্টের ওই বিপণিবিতানে শ্বেতাঙ্গ যুবকের গুলিতে ২০ জনের মৃত্যুর সঙ্গে দুই ডজনের মত মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতদের মধ্যে তিনজন এবং আহত ছয়জন মেক্সিকোর নাগরিক বলে জানিয়েছেন দেশটির আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর।
টেক্সাসের দোকানে হামলার ১৩ ঘণ্টার মাথায় স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের অরেগনের ডেটনে একটি পানশালার বাইরে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেখানে এক বন্দুকধারীর গুলতে নিহত হয় নয়জন, আহত ১৬।
ডেটনের ই-ফিফথ স্ট্রিটে নেড পেপারস নামের একটি পানশালার বাইরে রাস্তায় বেশ কয়েকটি গুলির শব্দের পর আতঙ্কিত লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটতে দেখা গেছে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে আসা কয়েকটি ভিডিওতে। হতাহত কয়েকজনকে হাসপাতালে নিতেও দেখা গেছে।
ঘটনার পরপরই ডেটনের পুলিশ এক টুইটার বার্তায় লোকজনকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়।
ডেটন পুলিশের এসিসট্যান্ট চিফ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাট কারপার জানান, ঘটনার পরপরই টহল পুলিশের সদস্যরা দ্রুততার সাথে বন্দুকধারীকে হত্যা করতে সক্ষম হয়।
তবে হামলাকারীর বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
টেক্সাস, ওহাইওর হামলার আগে গত ২৮ জুলাই ক্যালিফোর্নিয়ার খাদ্য উৎসবে গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ।