‘রক্তের রাখি বন্ধনে’ আবদ্ধ বাংলাদেশ-ভারত: কাদের

phot20200123163011

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ‘রক্তের রাখি বন্ধনে’ আবদ্ধ বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যে সংহতি তা বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মুক্তিযুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে কখনো কখনো টানাপোড়েন থাকলেও, অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বে তা সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ভারতীয় ঋণের (এলওসি) আওতায় দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশটির ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু সমস্যা এখনো আছে, সেখানেও যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কোনো সমস্যাই সমাধানের অনতিক্রম্য নয়। বিশেষ করে যখন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বোঝাপড়া খুবই ভালো।

সহযোগিতা অব্যহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রীভা গাঙ্গুলী বলেন, বাংলাদেশকেই সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিচ্ছে ভারত। ভারতীয় দ্বিতীয় এলওসির আওতায় যে প্রকল্পগুলো হচ্ছে, তা যথাযথভাবে মানসম্পন্ন উপায়ে হবে বলে আশাবাদী হাই কমিশনার।

অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থল বন্দর মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের দু’টি প্যাকেজের চুক্তি সই হয়। ৩ হাজার ৫৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করা হবে। এতে ভারত ঋণ দেবে ২ হাজার ২৫৫ কোটি। বাংলাদেশ সরকার জোগান দেবে বাকি ১ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রথম প্যাকেজের ঠিকাদার ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাক্ট্রাকচার লিমিটেড আশুগঞ্জ নদীবন্দর হতে সরাইল পর্যন্ত ১২ দশমিক ২১ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীত করবে। এতে ব্যয় হবে ৫৭২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজে সরাইল হতে ধরখার পর্যন্ত ২৭ দশমিক কিলোমিটার সড়ক ১ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চারলেনে উন্নীত করা হবে। প্রকল্পের পরামর্শক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান জেভি অব রাইটেসের সঙ্গে ১১৭ কোটি টাকার চুক্তি হয়।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন সচিব নজরুল ইসলামসহ ভারতীয় এপিম ব্যাংক, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Pin It