রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, গত দেড় দশকে হাওর হয়ে ওঠেছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র। এখন প্রতিদিন হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজারো মানুষ আসেন। তবে সতর্ক থাকবে হবে যে কোনো রাঘব-বোয়াল যেন হাওরের জমি কিনতে না পারে। ইতোমধ্যে রাঘব-বোয়ালদের দৃষ্টি পড়েছে হাওরে। তারা ‘মাল কামানোর’ জন্য হাওরে জায়গা কিনতে চায়। তারা জায়গা কিনলেই হাওরের পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট হবে।
সোমবার রানী অষ্টগ্রাম উপজেলার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুধী সমাবেশে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, হাওরে গত ১১ বছরে বিশাল উন্নয়নযজ্ঞ হয়েছে। হাওরের সার্বিক উন্নয়ন দেখে আজ মনে হয় আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন হাওরের প্রতিটি উপজেলায় স্কুল-কলেজ হয়েছে। ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলায় সরকারি স্কুল ও কলেজ হয়েছে। কিন্তু এমন সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও শিক্ষার মান ভাল নয়। শিক্ষার মান বাড়াতে হবে।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, নেতাগিরি করলে চলবে না। মানুষের সুখে-দুখে মানুষের পাশে থাকতে হবে। অনেকে নেতা হয়েই দুই নম্বরি কাজ শুরু করে দেন। সে খবর আমি ঠিকই রাখি। আমি কৃষকের সন্তান ছিলাম। কখনও দুই নম্বরি করিনি। নামে-বেনামে কোন ঠিকাদারি কাজ করবেন না। যারা করেন তাদের সম্পর্কে আমি সব খবর পেয়ে যাই। থানায় কোনো দরবার বসাবেন না। সর্বোপরি যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন অনিয়ম-দুর্নীতি না করে কাজ করে চলার চেষ্টা করবেন। এতে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের সন্মান আরও বেড়ে যাবে।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, সরকার দুর্নীতিসহ মদ, জুয়া, চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপোসহীন অভিযানে নেমেছে। এজন্য বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এই অভিযানে জনগণ সহযোগিতা করলে সরকার দেশের সব অনিয়ম-দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে পারবে। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বৈষম্যহীন সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবে।
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতিপুত্র রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সংসদ সদস্য আফজল হোসেন, সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, অষ্টগ্রাম রোটারী কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা আরিফ খান, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু,অধ্যাপিকা সৈয়দা নাছিমা আক্তার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম জেমস, অষ্টগ্রাম সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।