রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) শিগগিরই বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, রাজউককে আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করার কথা ভাবছি। এত বড় ঢাকায় একটি রাজউকে বসে সবকিছু পরিচালনা করা সম্ভব নয়। রাজউকের সকল জোনকে শক্তিশালী করতে চাই। স্তরভিত্তিক পরিসর বাড়ার কারণে রাজউককে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এর পক্ষে। অদূর ভবিষ্যতে রাজউকের কেন্দ্রিকতা বিকেন্দ্রিকতায় পরিণত হবে, যাতে মানুষ সেবা পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাজউক মিলনায়তনে রাজউক সেবা সপ্তাহ ২০১৯-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজউকের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি জালাল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি মো. আব্দুস সবুর প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজউকের বোর্ড সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমজাদ হোসেন খান।
পূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, রাজউকের ভেতরে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। কিন্তু একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য রাজউককে বদনামের বোঝা কাঁধে নিতে হয়। দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল থেকে শুরু করে সব নির্মাণ তখনই ঢাকা পড়ে যায় যখন বালিশ কেলেঙ্কারির বোঝা আমাদের মাথায় নিতে হয়। যাদের ভুল আছে তাদের শোধরানোর জন্য বারবার বলছি। যে শুধরাবেন না তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সেবাগ্রহীতাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজউককে সাহায্য করুন। গতানুগতিকভাবে রাজউকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা কাউকে ছাড় দিতে চাই না।’
রাজউক জানায়, সেবা সপ্তাহ চলাকালে ২৩০টি ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র, ১৮৮টি ইমারত নির্মাণের নকশা অনুমোদন, ৬৯টি নামজারি, ৩২টি প্লটের দখল হস্তান্তর, ৮১টি প্লটের আমমোক্তার/হস্তান্তর/লিজডিড/হেবা, ৭টি নকশা অনুমোদনের ছাড়পত্র, ১০টি ঋণ গ্রহণের অনাপত্তিপত্র, ৩২টি হাতিরঝিল ফ্ল্যাটের সাময়িক বরাদ্দপত্র ও উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের ১৭৫টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে।