সাংবাদিক পরিচয়ে রাজধানীর মতিঝিলের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে এআর মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কথিত ওই সাংবাদিক বিভিন্ন পত্রিকার ভুয়া আইডি কার্ড ব্যবহার করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে ‘আমার বার্তা’ নামে একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে রাকিব হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী শাহজাহানপুর ও মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এআর মোল্লার নেতৃত্বে সাংবাদিক পরিচয়ে সংঘবদ্ধ কয়েকটি চক্র রাজউকে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছে। রাজউকে ভুক্তভোগীদের বাড়ির নকশা অনুমোদন করে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া এবং রাজউকের কিছু অসাধু পরিদর্শকদের সঙ্গে সখ্যতা করে সেবাগ্রহীতাদের বিভিন্ন দুর্বলতা জেনে তাদের বিরুদ্ধে ভুঁইফোড় নামসর্বস্ব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন তারা।
পরে এসব নিউজের প্রেক্ষিতে রাজউক থেকে চিঠি পাঠিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি। সেই টাকা পরিদর্শক আর কথিত সাংবাদিকরা মিলে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামীর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নামসর্বস্ব একটি পত্রিকায় কথিত সাংবাদিক এআর মোল্লা সংবাদ প্রকাশ করেন। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর আবার আমার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই চক্রটি বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষদের টার্গেট করে রাজউকের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, কারখানা থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করেন। এরই মাঝে এআর মোল্লা ভুক্তভোগীর আইনি পদক্ষেপের বিষয় আঁচ করতে পেরে থানায় জিডি ও নামসর্বস্ব পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন।
কথিত সাংবাদিক ও জড়িত কর্মচারীদের বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, এখানে কাউকে হয়রানি এবং কারও কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিলে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
শাহজাহানপুর থানার ওসি বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
অভিযোগের বিষয়ে এআর মোল্লার বক্তব্য জানতে ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।