গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, রাজধানীর বহুতল ভবন পরিদর্শনের জন্য ২৪টি দল গঠন করা হয়েছে। দলগুলো আগামীকাল (সোমবার) থেকে পরিদর্শন শুরু করবে। পরিদর্শনকালে দেখা হবে— অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে কি না। যদি কোনো ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পাওয়া না যায়, তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা তদন্ত এবং ঢাকার বিদ্যমান ভবনগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে করণীয় সংক্রান্ত রাজউকের এক সভা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন। রোববার দুপুরে রাজধানীর দিলকুশায় রাজউকের প্রধান কার্যালয় মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে করা সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকলে প্রথমে এ বিষয়ে ব্যবস্থার জন্য সময় দেওয়া হবে। তারপরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সংশ্লিষ্ট ভবন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। অনুমোদনহীন কোনো ভবন ঢাকা শহরে থাকবে না। অনুমোদনহীন সব ভবন ভেঙে দেওয়া হবে।
এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভবনটির অবৈধ অংশ নির্মাণের সময় রাজউকে যারা দায়িত্বে ছিলেন, তদন্তে তারা দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদনটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- রাজউক চেয়ারম্যান আবদুর রহমানসহ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। ভয়াবহ এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে ২২ তলাবিশিষ্ট ওই ভবনের কয়েকটি তলায়। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও বিমানবাহিনীর পাঁচটি হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। এ আগুনে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এতে আহত ও দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে বনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মিল্টন দত্ত বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে এস এম এইচ আই ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান ও তাসভিরুল ইসলামকে আসামি করা হয়। এরপর শনিবার রাতে এস এম এইচ আই ফারুককে তার বারিধারার বাসা থেকে এবং তাসভিরুল ইসলামকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।