বিপিএলের এবারের আসর পূর্বের মতো তারকা সমৃদ্ধ হয়নি। কিন্তু এবারের আসরের গুরুত্ব আলাদা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ হয়েছে বিপিএলের সপ্তম আসরের। সেই আসরের ফাইনালে ওঠা খুলনার জন্য নিশ্চয় অনেক বেশি গৌরবের।
সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়্যালসকে ২৭ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে ওঠার মর্যাদা অর্জন করেছে খুলনা। ঘুচিয়েছে আগের দুই আসরে শেষ চারে বিদায় নেওয়ার আক্ষেপ। গ্রুপ পর্বের সেরা দল হিসেবে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে খুলনা। প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করল ফাইনালও। এবার তাদের সামনে সুযোগ প্রথম শিরোপা জয়ের।
টস জিতে রাজশাহী রয়্যালস গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে প্রথমে ফিল্ডিং নেয়। কারণ শিশিরের প্রভাবে রান তাড়া করা সহজ হবে। প্রথমে ব্যাট করা খুলনা আবার বড় সংগ্রহও তুলতে পারেনি। নাজমুল শান্তর ৭৮ রানের দারুণ এক ইনিংসে ভর করে ১৫৮ রান তোলে তারা। এছাড়া মুশফিকুর রহিমের ২১ এবং শামসুর রহমানের ৩২ রান দেড়শ’ ছাড়ানো সংগ্রহ পেতে সহায়তা করে খুলনার।
জবাব দিতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের আগুনে বোলিংয়ে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী। খুলনার পাকিস্তান পেসার আমির রয়্যালসের অন্যতম ভরসা লিটন দাস এবং আফিফ হোসেনকে শুরুতে তুলে নেন। এরপর অলক কাপালি এবং রাজশাহীর অন্যতম ভরসা আন্দ্রে রাসেল ফিরে যান আমিরের তোপে পড়ে। রবি বোপারা এবং ফরহান রেজাদের রান করতে দেননি রবি ফ্রাংলিংক এবং শহিদুল ইসলাম।
প্রথম ১০ ওভারের মধ্যেই তাই রাজশাহী হার দেখে ফেলে। তবে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজশাহীর হয়ে দারুণ ফর্মে থাকা পাকিস্তান অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। তিনি এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে খেলেন ৫০ বলে ৮০ রানের অসাধারণ ইনিংস। তার দারুণ ওই ইনিংস ১০ চার ও চার ছয়ে সাজানো ছিল। মালিককে সঙ্গ দিয়ে ২৩ বলে ১২ রান করেন তাইজুল ইসলাম। ধরে রাখেন উইকেট।
কিন্তু সেই আমিরের তোপেই ফেরেন তাইজুল এবং শোয়েব মালিক। টি-২০ ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেট নেন পাকিস্তান পেসার। ৪ ওভারের স্পেল শেষ করেন ১৭ রানে ছয় উইকেট নিয়ে। বিপিএলে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড গড়েন। রাজশাহী রয়্যালস ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হয় ১৩১ রানে। নাজমুল শান্তর সঙ্গে মোহাম্মদ আমির বনে যান খুলনার ফাইনালে ওঠার নায়ক। আর রাজশাহী হারলেও তাদের ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রামের বিপক্ষে বুধবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবেন রাসেল-লিটনরা।