দারুণ বোলিংয়ে লক্ষ্যটা নাগালে রাখলেন রংপুর রাইডার্সের বোলাররা। বাকিটা সহজেই সারলেন ব্যাটসম্যানরা। ফিফটি করলেন রাইলি রুশো। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এবি ডি ভিলিয়ার্স খেললেন আরেকটি ভালো ইনিংস। রাজশাহী কিংসকে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
বিপিএলে মঙ্গলবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে রংপুর। ১৪২ রানের লক্ষ্য ৮ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা।
রংপুর ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পয়েন্ট ১৪ করে। অন্তত তিন ও চারে থাকা নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। এক ম্যাচ বাকি থাকা রাজশাহীর আশা এখনও টিকে আছে। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পঞ্চম স্থানে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি রাজশাহীর। ২৮ রানের মধ্যে ফিরে যান জনসন চার্লস ও মুমিনুল হক।
দুই অঙ্কে ছুঁয়ে বিদায় নেন সৌম্য সরকার। পেসার শহিদুল ইসলামের বলে ধরা পড়েন ডিপ স্কয়ার লেগে। দ্রুত বিদায় নেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ছন্দে থাকা লরি ইভান্স কিছুটা টানেন দলকে। ৩১ বলে পাঁচ চারে ৩৫ রান করা এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় রাজশাহী।
ক্রিস্টিয়ান পারেননি দলকে টানতে। মন্থর ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে দুই চারে ১৮ রান করেন ফজলে মাহমুদ। শেষের দিকে ২০ বলে ২২ রান করেন কায়েস আহমেদ।
ছন্দে থাকা পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা ৩ উইকেট নেন ৩০ রানে। আঁটসাঁট বোলিং করেন নাহিদুল ইসলাম ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাত্র ৩ বল করেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পেসার শফিউল ইসলাম।
রান তাড়ায় শুরুতেই ক্রিস গেইলকে হারায় রংপুর। অফ স্পিনার মিরাজকে উড়ানোর চেষ্টায় লং অফে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ওপেনার। টানা তিনটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলা অ্যালেক্স হেলস এবার বেশি দূর যেতে পারেননি। এক চারে ফিরে যান ১৬ রান করে।
তৃতীয় উইকেটে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে ৭১ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে নিয়ে রুশো। আগের ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাওয়া বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ৪৩ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় করেন ৫৫ রান।
এই ইনিংস খেলার পথে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে হিসেবে রুশো এক আসরে পেরিয়ে যান পাঁচশ রানের মাইলফলক। এই ম্যাচ শেষে তার রান ৫১৪। বিপিএলে এক আসরে আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১২ আসরে বরিশাল বার্নার্সের হয়ে আহমেদ শেহজাদের ৪৮৬।
ডি ভিলিয়ার্স ২৭ বলে তিন ছক্কা আর এক চারে করেন ৩৭ রান। দুই রানের মধ্যে রুশো ও ডি ভিলিয়ার্সের বিদায়ের পর মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে বাকিটা সারেন নাহিদুল।
রেজা তার ৩ উইকেটের জন্য পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ১৭ উইকেট নিয়ে তিনি আছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকার তিন নম্বরে। ২০ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন সিলেট সিক্সার্সের পেসার তাসকিন আহমেদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী কিংস: ২০ ওভারে ১৪১/৮ (চার্লস ১২, সৌম্য ১৪, মুমিনুল ৪, ইভান্স ৩৫, মিরাজ ৬, ইয়ঙ্কার ১৬, মাহমুদ ১৮, কায়েস ২২, সানি ১, মুস্তাফিজ ৪*; অপু ৪-০-৩৯-২, মাশরাফি ৪-০-২৫-০, রেজা ৪-০-৩০-৩, নাহিদুল ৩.৩-০-১৪-১, শফিউল ০.৩-০-৩-০, শহিদুল ৪-০-২৮-২)
রংপুর রাইডার্স: ১৮.৪ ওভারে ১৪৫/৪ (গেইল ১০, হেলস ১৬, রুশো ৫৫, ডি ভিলিয়ার্স ৩৭, মিঠুন ৪*, নাহিদুল ১১*; মিরাজ ৪-০-২৪-১, সানি ৩-০-২৯-১, মুস্তাফিজ ৩.৪-০-৩৩-০, কায়েস ৪-০-২৯-১, রাব্বি ৪-০-২৯-১)
ফল: রংপুর রাইডার্স ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ফরহাদ রেজা