পৌষের শুরুতে রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) এক লাফে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ এসে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন পর্যন্ত এটি চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ থকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছিল। আজই প্রথম তাপমাত্রা নেমে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। এক লাফে তাপমাত্রা কমে আসায় একটু দেরিতে হলেও শীত অনুভূত হচ্ছে রাজশাহীতে। সাধারণত ডিসেম্বরের শুরুতেই এমন শীত আঁচ করা যায় রাজশাহীতে। গেল বছরও তাই হয়েছে।
কিন্তু এবার শীত আসলো মধ্য ডিসেম্বরের পর। দিনভর বয়ে চলেছে ঠাণ্ডা হাওয়া। ভোরের ঘন কুয়াশা এবং সন্ধ্যার কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে রাজশাহীতে মাথায় উলের টুপি, গলায় মাফলার আর শরীরে গরম কাপড় জড়ানো ছাড়া বাইরে বের হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও ঠাণ্ডা বাতাসের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছিল পদ্মাপাড়ের মানুষ। এরই মধ্যে ঠাণ্ডায় গুটিশুটি হয়ে পড়েছেন পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল মানুষ।
প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে শহরের ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষরা শীতে কাতর হয়ে পড়েছেন এখনই। তাই শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে তারা যাচ্ছেন- ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক গাওসুল আজম বলেন, কয়েক দিন থেকেই তাপমাত্রা নামছে। তবে রাজশাহীতে আজই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে দিনের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছিল।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল সকাল ৬টায় ৮০ শতাংশ এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৪১ শতাংশ।
এদিকে, ঢাকা আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়ার এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সকালের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপবির্তত থাকতে পতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।