নিষিদ্ধ মাদক আফিম তৈরির কাঁচামাল পপি ফুল। মাদকদ্রব্যের গাছ হওয়ায় দেশে সব প্রজাতির পপির চাষ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলের বিভিন্ন বাগানে পপি ‘চাষ’ হচ্ছে। বাগান মালিদের দাবি, পুরোনো বীজ থেকে নতুন গাছ জন্মেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ১১টি আবাসিক হলের পাঁচটিতেই পপি গাছ রয়েছে। হলগুলোর বিভিন্ন ফুল গাছের সঙ্গে এগুলোও রয়েছে। অন্য গাছের আড়ালে থাকায় ভালোভাবে লক্ষ্য না করলে বোঝার উপায় নেই। এরই মধ্যে অধিকাংশ পপি গাছে লাল-সাদা রঙের ফুল এসেছে। আবার কিছু গাছে ফলও ধরেছে।
হলগুলোতে দায়িত্বরত মালিদের দাবি, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাগানে অনেক আগে পপি গাছ লাগানো হয়েছিল। পরে সেগুলো তুলে ফেলা হয়। ওই বীজ থেকেই বর্তমান গাছগুলো হয়েছে। নতুন করে গাছ লাগানো হয়নি।
জিয়াউর রহমান হলের মালি মো. সানাউল্লাহ বলেন, বাগানে বিভিন্ন জাতের ফুলগাছ রয়েছে। এ বছরও অনেক ফুলগাছ নতুন করে লাগানো হয়েছে। পপি গাছ লাগানো হয়নি। এসব গাছ অনেক আগে লাগানো হয়েছিল। হল প্রশাসনের নির্দেশে সে সময় পপি গাছগুলো তুলে ফেলা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, দুই প্রজাতির পপি গাছ রয়েছে। এর একটি থেকে রস সংগ্রহ করা যায়, আরেকটি থেকে যায় না। তবে উভয় ধরনের পপি চাষই সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তবে বিষয়টি জানা নেই বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সৈয়দ আমীর আলী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিষয়টি জানা ছিল না। শোনার পরই হলে এসে খোঁজ নিয়েছি; গাছ পাইনি। মালিদের অসচেতনার কারণে এমনটি হয়েছে। পরবর্তীতে লক্ষ্য রাখা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘পপি নিষিদ্ধ কিনা আমার জানা নেই। আমি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করব। নিষিদ্ধ হলে ক্যাম্পাসে চাষের সুযোগই নেই।’