রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সিকান্দার আবু জাফরের ‘সিরাজউদ্দৌলা’ অবলম্বনে মঞ্চস্থ হবে যাত্রাপালা ‘পলাশী পুরাণ’।
শুক্রবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল চত্বরে রোববার ও সোমবার এটি মঞ্চস্থ হবে। যাত্রাপালাটি নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যকলা বিভাগের সভাপতি রহমান রাজু।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার রাজদরবারের আদলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনের নাট্যকলা বিভাগের থিয়েটার রুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করার বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি রহমান রাজু বলেন, “আমরা যে গতানুগতিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করি, তা থেকে বেরিয়ে এসে যুগের দাবির সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনগুলো একটু ভিন্ন আঙ্গিকে করা উচিত। যেমন, আমি নাটককে যাত্রাপালাতে এনেছি। যেমনটি প্রেক্ষাগৃহ বাদ দিয়ে মাঠে যাত্রাপালার আয়োজন করেছি। সেজন্য মনে হয়েছে সংবাদ সম্মেলন বরাবরই যে রকম করে হয়, ওই গতানুগতিকতার বাইরে এসে ভিন্ন রকম হলে তাতে শিল্পী রুপটি ফুটে ওঠে।”
পলাশী পুরাণ যাত্রাপালার বিষয়ে তিনি বলেন, “সিরাজউদ্দৌলা মূলত একটা নাটক। এটাকে যাত্রাপালার আঙ্গিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ আমাদের যে শেকড় সন্ধানী যাত্রাপালা, তা আজকে নির্বাসিত প্রায়। সেটাকে পুনঃরুদ্ধারের প্রচেষ্টা এবং মুজিববর্ষে জাতীয় চেতনাকে স্মরণ করা। এই রকম জাতীয় নায়ক সিরাজদেরকে স্মরণ করে ইতিহাসকে ফিরে দেখা ও তার মূল্যায়ণ করাও উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, “যাত্রাপালা থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেই যাত্রাপালাকে ফিরিয়ে আনতে পারি সেই জন্য এই আয়োজন।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘এ যাত্রায় মুখ ফেরানোর কিছু নেই’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অদম্য-১৮ ব্যাচের বার্ষিক প্রযোজনার অংশ হিসেবে ও ‘মুজিব শতবর্ষ’কে নিবেদন করে মঞ্চায়িত হবে যাত্রাপালাটি। যাত্রার কনসার্ট শুরু হবে সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়। পালা শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়।
এই যাত্রাপালার জন্য তিন ধরনের টিকিট ছাড়া হয়েছে ‘আরামকেদারা’। বিনিময় মূল্যের জায়গায় লেখা হয়েছে ‘টাকা শ পাঁচেক’। দ্বিতীয় সারির টিকিট ‘সাধারণ কেদারা’ এর বিনিময় মূল্য ‘টাকা শ খানেক’। আর যারা মাটিতে বসে এ যাত্রাপালা উপভোগ করবেন তাদের টিকিটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার মাটি’। এর বিনিময় মূল্য ত্রিশ টাকা।
যাত্রাপালায় অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, রাজশাহী জেলার প্রশাসক মো. হামিদুল হক, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহা. মোকবুল হোসেনসহ আরও অনেকের এ আয়োজনে থাকার কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. কৌশিক সরকার ও সুখন সরকার।