ইউক্রেন যুদ্ধের রেশ ধরে এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে এক হচ্ছে প্রতিবেশী নর্ডিক রাষ্ট্রগুলো। রাশিয়াকে রুখতে একটি শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে নর্ডিক দেশ-সুইডেন, নরওয়ে , ফিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক। দেশগুলোর প্রতিরক্ষা নিশ্চিতে এই বিরাট বহরে থাকবে ২৫০টি আধুনিক ফ্রন্ট লাইন যুদ্ধ বিমান। আল জাজিরা, রয়টার্স।
শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে চার দেশের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, ন্যাটোর মতোই তারা জোট বেঁধে কাজ করছে। লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে ১৬ মার্চ একটি প্রাথমিক চুক্তিতে সই করার কথাও জানিয়েছেন চার দেশের বিমান বাহিনীর কমান্ডাররা।
ডেনমার্কের বিমান বাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল জান ড্যাম বলেন, বিমান বাহিনীকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয় গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পরই। তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্মিলিত বহরকে তুলনা করা যেতে পারে একটি বড় ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে।
নরওয়ের কাছে ইতোমধ্যে রয়েছে ৫৭টি এফ-১৬ ফাইটার জেট। এছাড়া ৩৭টি এফ-৩৫ ফাইটার কেনার প্রক্রিয়ায় রয়েছে তারা। ফিনল্যান্ডের রয়েছে ৬২টি এফ/এ-১৮ হর্নেট জেট রয়েছে। দেশটির বিমানবাহিনীতে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ৬৪টি এফ-৩৫। ডেনমার্কের আছে ৫৮টি এফ-১৬, আর চাহিদা রয়েছে আরও ২৭টি এফ-৩৫ ফাইটার জেটের। সুইডেনের কাছে ৯০টিরও বেশি গ্রিপেন জেট রয়েছে। তবে বিমানগুলোর কতটি চালু আছে তা স্পষ্ট নয়।
নর্ডিক বিমান বাহিনীর কমান্ডাররা সুইডেনে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার বিষয়ে প্রথম আলোচনা করেছিলেন গত নভেম্বরে । ড্যাম বলেন, ‘আমরা আমাদের আকাশপথের নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে চাই। একে অপরের নজরদারি সিস্টেম থেকে ডেটা ব্যবহার করে তা সম্মিলিতভাবে ব্যবহার করতে চাই।’
যৌথ এ নর্ডিক বিমান বাহিনী গড়ে তোলার এ ধারণা ১৯৯০ দশকের মাাঝামাঝি থেকে সরকারগুলোর মধ্যে পর্যায়ক্রমিক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছিল। তবে যৌথ অগ্রগতির প্রতিবন্ধক ছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান।