রিপাবলিকানদের ভোট ছাড়াই সিনেটে পাশ হয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারের করোনা প্রণোদনা বিল। শনিবার রিপাবলিকানদের বাধার পরও বিলটি পাশ হয়। ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে বড় একটি বিল পাস হলো। এই বিল পাশকে কংগ্রেসে তার জন্য প্রথম বড় ধরনের জয় বলে মনে করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে জানা যায়,সিনেটে ৫০-৪৯ ভোটে ডেমোক্র্যাটদের বিলটি পাশ হয়। এতে কোনো রিপাবলিকানই ভোট দেননি। ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার তাদের ভোটেই বিলটি পাশ হয়। জর্জিয়ায় বিশেষ নির্বাচনে সিনেটের দুই আসনে জয় পাওয়ার কারণেই বিলটি পাশ করা সম্ভব হয়েছে ডেমোক্র্যাটদের জন্য। তবে আলাস্কার রিপাবলিকান সিনেটরের এক স্বজনের শেষকৃত্য থাকায় তিনি সিনেটে ভোটাভুটিতে অংশ নিতে পারেননি। শুক্রবার তিন ডজন সংশোধনী এনে বিলটিতে বাধার সৃষ্টির চেষ্টা করেছিলেন রিপাবলিকানরা। এর ফলে ১২ ঘণ্টা বিলম্ব ঘটায় সারা রাত অধিবেশন চলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকালে বিলটি পাশ হয়।
বিলটি পাশ হওয়ায় ৭৫ হাজার ডলারের কম আয়ের নাগরিকরা পাবেন ১ হাজার ৪০০ ডলার করে। এই খাতে ৪০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ৮৫ শতাংশ আমেরিকান এই সুবিধা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোনো দম্পতির যদি দুটি সন্তান থাকে এবং তাদের বার্ষিক আয় ১ লাখ ডলার হয় তাহলে তারা ৫ হাজার ৬০০ ডলার এককালীন পাবেন। করোনা মোকাবিলায় ৪১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৪৪ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বেকারদের সপ্তাহে ৩০০ ডলার করে দেওয়া হবে। আগে বিলটিতে এই অর্থ ছিল ৪০০ ডলার করে। কিন্তু রিপাবলিকানদের বাধা এড়াতে ৩০০ ডলার করা হয়। ৯৫ লাখ বেকার এই সুবিধা পাবেন আগষ্ট পর্যন্ত। ১৪ মার্চ আগের প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হবে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, চলতি মাস থেকেই আমেরিকানদের ঘরে নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের চেক পৌঁছে যাবে। সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শ্যুমার আশা প্রকাশ করে বলেছেন, বিলটি আবার প্রতিনিধি পরিষদে যাবে এবং এরপর ১৪ মার্চের মধ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিনিধি পরিষদে প্রথমে বিলটি পাশ হয়।
কিন্তু সিনেটে বিলে কিছু সংশোধনী আনায় আবার প্রতিনিধি পরিষদে পাশ করাতে হবে। সেখানে ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সহজেই বিলটি পাশ হবে। করোনার কারণে অনেক রাজ্যের বাজেটে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সেসব রাজ্যকে সহায়তার জন্য ৩৫০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ আছে করোনাবিষয়ক প্রণোদনা প্যাকেজে।