স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আসামিদের কেউ যাতে বিদেশে পালাতে না পারে সেজন্য দেশের সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের ইতিহাস, ঐতিহাসিক ভবন সংরক্ষণ ও পারিপার্শ্বিক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসামিরা যে দলেরই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায়ও কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। সবাই গ্রেফতার হয়েছে। তাই অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেন, তারা ছাড় পাবে না। প্রধানমন্ত্রী দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের উন্নয়নে ৬০৭ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ শাসন আমলে ১৭৮৮ সালে একটি ‘ক্রিমিনাল ওয়ার্ড’ নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা কারাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। কালের পরিক্রমায় এবং বাস্তবতার নিরিখে নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারটি দেশের বৃহৎ কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে গড়ে ওঠে।
আসাদুজ্জামান কামাল জানান, পুরাতন কারাগারটি ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ তিনটি জোনে ভাগ করে কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
জোন ‘এ- তে রয়েছে কমার্শিয়াল বিল্ডিং কাম মাল্টিপারপাস হল নির্মাণ, জোন ‘বি’ তে রয়েছে নতুন চক মার্কেট, মসজিদ পুণঃনির্মাণ এবং জোন ‘সি’-তে রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এবং জাতীয় চার নেতার কারা স্মৃতি জাদুঘর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন, সেন্ট্রাল জেল গেট- ক্যানোপি ইত্যাদি কার্যক্রম।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশ কিছু বাধা ছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “কিছু অন্তরায় ইতিমধ্যে আমরা দূর করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি অন্তরায়গুলো দূর করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে যাব বলে আশা করছি।”
তিনি বলেন, অনেক স্মৃতিবিজড়িত এ কারাগারের রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন হতে শুরু করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ পর্যন্ত অসংখ্য দেশপ্রেমিক কারাবরণ করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ দেশপ্রেমিক অসংখ্য বাঙালির নিকট পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি ছিল একটি ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থান।