রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সম্পর্কিত সরকারের তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছে দুদক।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ওই প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে দুদকের করণীয় সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা। এ সময় চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
বাংলাদেশ-রাশিয়া যৌথভাবে বাস্তবায়নাধীন ওই প্রকল্পে দুর্নীতির খবরাখবর এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর আলাদাভাবে তদন্ত করছে। দুদক ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ওই প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে কি হয়নি, তা অনুসন্ধান করে বের করতে হবে। এ নিয়ে গণমাধ্যমের খবরও কমিশনের নজরে এসেছে।
দুর্নীতির মধ্যে বালিশ, কেটলির বিষয়ও এসেছে। দুদক এসব শুনেই ব্যবস্থা নিতে পারে না। দুদকের কাজের প্রক্রিয়াগত দিক রয়েছে। অনুসন্ধান তদন্তের প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে হয়। এ কারণেই কমিশন সরকারিভাবে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছে।