বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে মঙ্গলবারই ব্যানার-প্লাকার্ড নিয়ে, মিছিল করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে স্বাগত জানায় দর্শকরা। মাহমুদুল্লাহরাও দলকে দারুণ এক জয় উপহার দেন। বুধবার দলকে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪২৬ রানের জমজমাট এক ম্যাচে ১৬ রানের জয় এনে দিলেন। ধরে রাখলেন নিজেদের জয়ের ধারা।
টস জিতে মাশরাফির ঢাকা প্লাটুন এ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু উইকেটের সুবিধা পুরোপুরি নেয় চট্টগ্রাম। দলের কেউ খুব বেশি বড় রান না পেলেও টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানই ব্যাটে রান করেন। তাতে চট্টগ্রাম ৪ উইকেটে বিপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ ২২১ রান তোলে। চট্টগ্রামের ওপেনার লেন্ডি সিমন্স খেলেন ৩৬ বলে ৫৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তিনি চারটি ছক্কা ও পাঁচটি চার মারেন। তার ওপেনিং সঙ্গী আভিস্কা ফার্নান্দো করেন ১৩ বলে ২৬ রান। ওপেনিং জুটিতে ৫১ রান পায় চট্টগ্রাম।
তিনে নেমে বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা ইমরুল কায়েস ২৪ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। আর চারে নেমে চট্টগ্রামের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৮ বলে ২১০.৭১ স্ট্রাইক রেটে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। চারটি ছক্কা এবং পাঁচটি চার মারেন তিনিও। মাহমুদুল্লাহর পরে নামা চ্যাডইউক ওয়ালটন ১৮ বলে ২৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
জবাব দিতে নেমে ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারের শেষ বলে ২০৫ রান তুলে অলআউট হয়। ঢাকার হয়ে ওপেনার মুমিনুল হক ভালো শুরু করেন। তিনি ৩৫ বলে ৫২ রান করে আউট হন। তিনে নেমে জাকির ২৭ রান করেন। এছাড়া লাউরি ইভান্স ১৭ রান করেন।পরে দলের হাল ধরা থিসারা পেরেরা ইনিংসের শেষ বলে ২৭ বলের মোকাবিলা করে ৪৭ রান করে আউট। চারটি ছক্কা ও তিনটি চার মারেন তিনি।
তার আগে মাশরাফি খেলেন ৬ বলে ২৩ রানের ইনিংস। তিনটি ছক্কা মারেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক। থিসারা সঙ্গী না পেয়ে শেষ পর্যন্ত হার দেখেই মাঠ ছাড়েন। চট্টগ্রামরে হয়ে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন মেহেদি রানা। বিপিএলে এটিই দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ। এর আগে এই চট্টগ্রামে বরিশাল ও রাজশাহীর মধ্যে ৪২২ রানের ম্যাচ দেখা যায়। দুই ইনিংস মিলিয়ে বিপিএলে চারশ’ রান ছাড়ানোর ম্যাচ আছে আরও দুটি।