কোভিডের প্রভাবে যেখানে সারা বিশ্বে রেমিট্যান্স কমে আসবে সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে সুখবর দিল বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি আশা করছে- চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ ২০২১ সালে রেমিট্যান্সে অন্তত ৮ ভাগ প্রবৃদ্ধি হবে। ফলে ২০ বিলিয়ন ডলারের (১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা) মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংকের ‘মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ’ এর অক্টোবর-২০২০ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দশকের মধ্যে এ বছরই করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন নিম্নমুখী হয়েছে। এর প্রভাবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সাল নাগাদ সারাবিশ্বে রেমিট্যান্স অন্তত ১৪ শতাংশ কমে যেতে পারে। এর আগে এপ্রিলের শুরুতে কোভিড-১৯ এর কারণে এ বছর বাংলাদেশে রেমিট্যান্স ২২ শতাংশ কমে ১৪ বিলিয়ন ডলারে নামতে পারে বলে ধারণা দিয়েছিল বিশ্ব ব্যাংক।
তবে হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারীর কারণে বেশিরভাগ দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে ধস নামলেও সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে বাংলাদেশে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৩ শতাংশ। এটা আরও বেড়ে ২০২০ সালে প্রবাসী আয়ে বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ। রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধির পেছনে প্রণোদনার পাশাপাশি বন্যাকেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে দেখছে বিশ্ব ব্যাংক। সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় ১০ লাখ ঘরবাড়ি ও ৪৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের প্রবাসী স্বজন বেশি টাকা পাঠিয়েছেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠালে সরকার যে ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, প্রবৃদ্ধিতে তারও ভূমিকার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়।