রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মুখরোচক সুস্বাদু খাবার

eating_dinner

উৎসবে যেসব মজার খাবার রান্না হয় সেগুলোতেও থাকে রোগ প্রতিরোধের উপাদান।

ঈদে নিশ্চয়ই রকমারি মজার খাবার খেয়ে দেহ-মন তৃপ্ত। আবার হয়ত ভাবছেন এসব খাবার খেয়ে শরীর না আবার খারাপ করে।

তবে মুখরোচক মজাদার খাবারও হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর হাতিয়ার। যদি তা হয় পরিমিত।

পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল বিস্তারিত।

মাংস: খাসির রেজালা বা বিরিয়ানি কেবল মজাদার মেনুই নয় বরং এটা পুষ্টিকরও। এতে আছে জিংক নামক খনিজ যা প্রোটিনের সঙ্গে কাজ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটা রক্ত কোষের কার্যকারিতা বাড়ায়। কোলেস্টেরলের কারণে ‘রেড মিট’ থেকে বিরত থাকতে চাইলে চামড়া ছাড়া হাস বা মুরগির মাংস খেতে পারেন, এতে স্বাদের পার্থক্য না হয়েও একই ফলাফল পাওয়া যাবে।

পুদিনা: পুদিনা শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ পুদিনা পাতা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এটা জারণের চাপ কমাতে সহায়তা করে।

পুদিনা প্রদাহরোধী ও ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ যা হজমের নানান রকমের সমস্যা দূর করে পেট পরিষ্কার রাখে। অ্যাসিডিটি এবং বুক জ্বালাপোড়া কমিয়ে হজমে সহায়তা করে। এছাড়াও, গরমকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে।

বোরহানি বা শরবতে পুদিনা-পাতার ব্যবহার শরীরের জন্য উপকারী।

খেজুর: শির খুরমা জনপ্রিয় মিষ্টি খাবার। শুকনা ফলের মধ্যে খেজুর ভিটামিন সি ও বি’য়ের ভালো উৎস। এটা হজমেও সহায়তা করে। প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি হওয়ায় সঠিক উপায়ে শক্তি সরবারহ করতে সাহায্য করে।

পেঁয়াজ: বিরিয়ানির সঙ্গে পেঁয়াজের রাইতা বেশ মুখরোচক, এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। পেঁয়াজে ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান থাকায় তা ঔষধি উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটা ভিটামিন সি, বি এবং পটাশিয়াম ও কোয়ারসেটিন নামক ফ্লাভানয়েড অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা, ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিলতা দূরে রাখে। এটা ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রম’ বা পিসিওএস কমিয়ে হাড়ের ক্ষয় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

বিভিন্ন মসলা: মজাদার রান্নায় নানান রকমের মসলা ব্যবহার করা হয়। এগুলো খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। হলুদ- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এর কারকিউমিন নামক উপাদান হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখে ও ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে। ধনিয়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ত্বক ভালো রাখে। আদা ঠাণ্ডা কাশি থেকে সুরক্ষিত রাখে এবং জিরা হজমের জটিলতা দূর করে বিপাক বাড়ায়।

Pin It