তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় গোপন নথি রোজিনা ইসলাম ফাইল থেকে নিয়েছেন। এ জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হচ্ছে সেগুলো সংরক্ষণ করা।
তিনি বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখলেন কেন? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আমরা পাঁচ ঘণ্টা আটক রাখিনি। এক ঘণ্টা পরে আইনের হাতে সোপর্দ করেছি। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করা হয়েছিল কিনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কারো যদি দায় থাকে সেটিও বেরিয়ে আসবে তদন্তে। রোজিনা ইসলাম যাতে সুবিচার পায় সেটি আমরা নিশ্চিত করব। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কখা বলেছি। সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন। প্রধানমন্ত্রী ও আমি সাংবাদিকদের মান-মর্যাদা ও সম্মান রক্ষায় আন্তরিক ও বদ্ধপরিকর।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বুধবার সাংবাদিকদের করোনাকালীন দ্বিতীয় পর্যায়ের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিআইবি মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে নানা খেলা আছে। আমাদের দেশ এত এগিয়ে যাচ্ছে, পাকিস্তান থেকে এগিয়ে গেল অনেক দূর। ভারতকেও অনেকক্ষেত্রে পেছনে ফেলে দিচ্ছে। এটাতো অনেকের সহ্য হয় না। সে কারণে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র আছে। সেজন্য একেক সময় একেকটা ইস্যু তৈরি করার অপচেষ্টা চালানো হয়। ফিলিস্তিনি শতাধিক শিশুকে হত্যা করা হলো। সেটি নিয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল কোনো বিবৃতি দিল না। রোজিনা ইসলামকে নিয়ে বিবৃতি দিল। জাতিসংঘও ফিলিস্তিনি ইস্যু নিয়ে কথা বলতে সাতদিন সময় নিয়েছে। কিন্তু রোজিনা ইসলামের প্রসঙ্গে অনেকে কথা বলছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিষয়টিকে আবেগতাড়িতভাবে না দেখে সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন। যেহেতু একটি মামলা হয়েছে তার ওপর যাতে অন্যায় না হয় সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে দেখছি। প্রধানমন্ত্রী নিজেও নারী হিসাবে বিষয়টিকে দেখছেন। কিন্তু কেউ অন্যায় করলে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করলে, সেক্ষেত্রে যাতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয় সেই বিষয়ে নিশ্চয়ই সাংবাদিক সমাজ একমত থাকবেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, বিএফইউজে সদস্য রুবেল খান প্রমুখ। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের ৯০ জনকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।