পিছিয়ে পড়ার পর জোড়া গোল করে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল আবাহনী লিমিটেড। রক্ষণের ভুলে ফের গোল হজম করলেও শেষ দিকে মামুনুল ইসলামের গোলে এএফসি কাপে চেন্নাইন এফসিকে হারিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের চেন্নাইনকে ৩-২ গোলে হারায় আবাহনী। প্রথম লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল দল।
দারুণ এই জয়ে গ্রুপ পর্ব পেরুনোর আশা বাঁচিয়ে রাখল আবাহনী। চার ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট তাদের। সমান ৭ পয়েন্ট চেন্নাইন এফসিরও।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় একের পর এক আক্রমণ করেও সমতায় ফিরতে পারেনি আবাহনী। ২০তম মিনিটে হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান করণজিৎ সিং। চার মিনিট পর ওয়ালী ফয়সালের বাঁকানো কর্নার ফিস্ট করে ফেরান এই গোলরক্ষক।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখা আবাহনীকে আবারও হতাশ হতে হয় ২৭তম মিনিটে। ওয়ালীর কর্নারে সানডে চিজোবার হেড জমে যায় গোলরক্ষকের গ্লাভসে।
৩৬তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। বাঁ দিক থেকে ওয়ালীর ক্রসে জীবন হেড করার পর দূরের পোস্টে ফাঁকায় থাকা জুয়েল রানা বল পেয়ে যান। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশা বাড়ান এই ফরোয়ার্ড।
অবশেষে ৬৪তম মিনিটে সমতার স্বস্তি ফেরে। আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইঘানির লম্বা করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের নিখুঁত টোকায় বল ঠিকানায় পৌঁছে দেন বেলফোর্ট।
পাঁচ মিনিট পর দুর্দান্ত গোলে আবাহনীকে এগিয়ে নেন সাইঘানি। ডান দিকের ডি বক্সের একটু ওপর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো ফ্রি-কিকে জালে খুঁজে নেন তিনি।
৮৭তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় আবাহনী। রায়হানের লম্বা থ্রো ইন প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ফেরানোর পর ডি-বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন মামুনুল।
যোগ করা সময়ে গোলমুখ থেকে শহীদুল আলম সোহেল প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের হেড ফেরালে গ্রুপ পর্বে দ্বিতীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।