রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের সঙ্গে এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতার তুলনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, মশার ব্যাপক বিস্তারের কারণে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শহীদ মিলন হলে ডেঙ্গু বিষয়ে এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে হঠাৎ করে কেন এত ডেঙ্গু রোগী? একটি সিম্পল উত্তর আমার পক্ষ থেকে, সেটা হল-মশা বেশি, এডিস মশা বেশি। সে মশাগুলি অনেক হেলদি মশা এবং সে মশাগুলি অনেক সফিস্টিকেটেড মশা। তারা শহরে, বাড়িতে থাকে- এটিই উত্তর। যেহেতু প্রডাকশন বেশি… মশা বাড়তেছে।
“সামহাউ উই কুড নট ম্যানেজ কন্ট্রোল দা মসকুইটো পপুলেশন। যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন বাড়ে.. আমাদের দেশে এসে। সেভাবে মসকিটু পপুলেশন বেড়ে যাচ্ছে। .. প্রডাকশন যদি কম হতো, এডিস মশা কম হতো। মানুষ আক্রান্ত মশার কামড় কম খেত, ডেঙ্গু কম হতো।”
মশা নিধনের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের বলে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ডেঙ্গু আক্রান্তদের যেভাবে সেবা দিচ্ছে, আশেপাশের উন্নত দেশের চিকিৎসকরা তা পারছেন না।
“ওখানে শত শত মারা গেছে, আর এখানে এযাবতকালে আটজনের বেশি মৃত্যু হয়নি। সঠিকভাবে যদি চিকিৎসা না হতো তাহলে মাত্র আটটি মৃত্যু হতো না। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার মতো শত শত মৃত্যু হতো।”
ডেঙ্গু জ্বর কমানোর লক্ষ্যে এডিস মশার বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “মশার সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট তৎপরতা চলছে। আমরা আশা করব, মশার সংখ্যা কমে যাবে এবং ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমে যাবে।”
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন তা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে ১৭৯ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত দুই হাজার ৮৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
“কাজেই লাখে লাখে হাজারে হাজারে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবে এ অবস্থা কখনো সৃষ্টি হবে না।”
প্রতিদিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।