জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার ন্যাশনালস (এফডিএমএন) এবং বৃহত্তর হোস্ট সম্প্রদায়ের শিশু-কিশোর ও যুবকদের শিক্ষা, জীবনের মানোন্নয়নে বড় অংকের অনুদান দেবে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক। ঋণ ছাড়া এত বড় অংকের অনুদান দিতে সাধারণত দেখা যায় না।
এ অনুদানের পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি টাকায় (প্রতি ডলার ৮৪ দশমিক ৮০ টাকা ধরে) যা ১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি তৈরির কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় ১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অনুদানের পাশাপাশি সরকারি খাত থেকে ৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে একনেক সভায় অনুমোদন পেলেই বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এই সংক্রান্ত চুক্তি হবে বলে জানায় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বব্যাংক) আবদুল বাকী বলেন, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় কমিউনিটির শিক্ষা ও জীবনের মানোন্নয়নে প্রকল্পের আওতায় ২০ কোটি ডলার অনুদান দেবে বিশ্বব্যাংক। এটা বলা যায় চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। আমরা প্রকল্পটি দ্রুত একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদন করার পরই এই সংক্রান্ত চুক্তি হবে। প্রকল্প পাসের পরেই সাধারণত চুক্তি করে থাকে সংস্থাটি।
সূত্র জানায়, প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে কক্সবাজার ও বৃহত্তর হোস্ট কমিউনিটিতে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার ন্যাশনালস (এফডিএমএন) এবং বৃহত্তর হোস্ট সম্প্রদায়ের শিশু, কিশোর ও যুবকদের মৌলিক, দক্ষতা, সামাজিক আদর্শ, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতা অনুশীলনে এই অনুদান ব্যয় হবে।
প্রকল্পের আওতায় কোভিড-১৯ পরবর্তী বিদ্যালয়, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, শিক্ষা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থীদের শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হবে বলে জানায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রকল্পের পিডিপিপি (প্রাক উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সারসংক্ষেপ পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অনুকূলে বিশ্বব্যাংকের অনুদান প্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রকল্পটির পিডিপিপি মূলত পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সোহেল আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের অনুদানে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও স্থানীয় কমিউনিটির জন্য প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্প প্রণয়নের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।