পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমার যাদের ওপর নির্ভরশীল তারাই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন। চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা দু’জনেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনয়ীতার কথা একবাক্যে স্বীকার করেছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলেও তারা আশ্বাস দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে অবশ্যই ফিরে যাবে এবং সবাই একসঙ্গেই ফিরবে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার আমরা তাই করছি এবং আমরা অবশ্যই সফল হবো। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হলে এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিলে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ রাখাইন অঞ্চলে বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন’ বিষয়ক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। এতে বক্তব্য দেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুর রহমান পাটোয়ারী, রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) হারুনুর রশীদ এবং কমডোর (অব.) এসএম মনির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ও মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. আহমেদ আল কবির। বার্তা ও টেলিভিশন প্যাকেজ অনুষ্ঠান প্রযোজনা সংস্থা হোম মিডিয়া এবং ল্যান্ডমার্ক পাবলিকেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন হাউস লিমিটেড (এলটিভি বাংলা) এ সংলাপের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা বিশ্ব এখন বাংলাদেশের প্রশংসা করে, যা কোটি কোটি টাকা খরচ করেও অর্জন করা সম্ভব নয়।