লকডাউনে কমে গেছে পৃথিবীর কাঁপুনি

image-143133-1586269218

মহামারির রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসের কারণে এখন প্রায় থমকে আছে বিশ্ব। ফলে বদলে গেছে পৃথিবীর গতিবিধিও। কমেছে কম্পন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে শত শত কোটি মানুষ এখন কাজকর্ম ছেড়ে ঘরে বসে আছে। বাইরে যাচ্ছে না মানুষ। গাড়ি-ট্রেন চলছে কম। লাখ লাখ ভারি শিল্প-কারখানা এখন বন্ধ। ফলে ভূপৃষ্টের ওপর চাপ কমে গেছে অনেক।

পৃথিবীর কাঁপুনি যে কমে গেছে তা প্রথম লক্ষ্য করেন বেলজিয়ামের রয়্যাল অবজারভেটরির বিজ্ঞানীরা।

তারা বলেন, ‘লকডাউনের আগের তুলনায় ১-২০ হার্টস ফ্রিকোয়েন্সিতে (বড় একটি অর্গানের আওয়াজের যে ফ্রিকোয়েন্সি) ভূপৃষ্ঠের দুলুনি এখন অনেক কম।’

শুধু বেলজিয়াম নয়, পৃথিবী পৃষ্ঠের এই পরিবর্তন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ্য করা গেছে। নেপালের ভূকম্পনবিদরা একই প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন।

প্যারিস ইন্সটিটিউট অব আর্থ ফিজিক্সের একজন গবেষক বলেছেন, ফ্রান্সের রাজধানীতে ভূকম্পন নাটকীয় মাত্রায় কমে গেছে।

অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহরে কাঁপুনি কমে যাওয়ার মাত্রা দেখে বিস্মিত হয়েছেন ক্যাল টেক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।

View image on Twitterলন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের স্টিভেন হিক্স বলছেন, লন্ডন এবং ওয়েলসের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান মহাসড়ক এম-ফোরঅ এর ওপর গাড়ি চলাচল কমে যাওয়ায় ঐ মহাসড়কের দুই ধারের এলাকাগুলোতে ভূকম্পন কমে গেছে।

স্যাটেলাইটের চিত্রে দেখা গেছে, পরিবেশ দূষণের পেছনে যার বড় ভূমিকা রয়েছে সেই নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড গ্যাস এখন বাতাসে অনেক কম। কারণ বাস-ট্রাক-গাড়ি, কারখানার ধোঁয়া কমে গেছে।

পৃথিবীর কম্পন কমলেও একদম যে স্থির হয়ে গেছে তা বলা যাবে না। তবে গতিবিধির এই পরিবর্তনে উৎসাহিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ওয়াশিংটনে ইনকর্পোরেটেড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর সিসমোলজির বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি ফ্রাসেটো বলেছেন, ‘এখন আপনি এমন সিগন্যাল পাচ্ছেন যাতে কোলাহল অনেক কম। ফলে সিগন্যালের ডেটা বিশ্লেষণ এখন সহজ হচ্ছে।’

Pin It