মহামারির রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসের কারণে এখন প্রায় থমকে আছে বিশ্ব। ফলে বদলে গেছে পৃথিবীর গতিবিধিও। কমেছে কম্পন।
পৃথিবীর কাঁপুনি যে কমে গেছে তা প্রথম লক্ষ্য করেন বেলজিয়ামের রয়্যাল অবজারভেটরির বিজ্ঞানীরা।
তারা বলেন, ‘লকডাউনের আগের তুলনায় ১-২০ হার্টস ফ্রিকোয়েন্সিতে (বড় একটি অর্গানের আওয়াজের যে ফ্রিকোয়েন্সি) ভূপৃষ্ঠের দুলুনি এখন অনেক কম।’
শুধু বেলজিয়াম নয়, পৃথিবী পৃষ্ঠের এই পরিবর্তন বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষ্য করা গেছে। নেপালের ভূকম্পনবিদরা একই প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন।
প্যারিস ইন্সটিটিউট অব আর্থ ফিজিক্সের একজন গবেষক বলেছেন, ফ্রান্সের রাজধানীতে ভূকম্পন নাটকীয় মাত্রায় কমে গেছে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস শহরে কাঁপুনি কমে যাওয়ার মাত্রা দেখে বিস্মিত হয়েছেন ক্যাল টেক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
স্যাটেলাইটের চিত্রে দেখা গেছে, পরিবেশ দূষণের পেছনে যার বড় ভূমিকা রয়েছে সেই নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড গ্যাস এখন বাতাসে অনেক কম। কারণ বাস-ট্রাক-গাড়ি, কারখানার ধোঁয়া কমে গেছে।
পৃথিবীর কম্পন কমলেও একদম যে স্থির হয়ে গেছে তা বলা যাবে না। তবে গতিবিধির এই পরিবর্তনে উৎসাহিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ওয়াশিংটনে ইনকর্পোরেটেড রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর সিসমোলজির বিশেষজ্ঞ অ্যান্ডি ফ্রাসেটো বলেছেন, ‘এখন আপনি এমন সিগন্যাল পাচ্ছেন যাতে কোলাহল অনেক কম। ফলে সিগন্যালের ডেটা বিশ্লেষণ এখন সহজ হচ্ছে।’