দাম্পত্য জীবনকে সুখী ও আনন্দময় করতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই সমান দায়িত্ব পালন করতে হয়। আজকাল বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতই ফাটল ধরে যাচ্ছে সম্পর্কে। তার উপর সময়টা লকডাউনের। সারাক্ষণ ঘরবন্দী। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, কোথায় ঘুরতে যাওয়া কিংবা রেষ্টুরেন্টে খেতে যাওয়া সব কিছুই বন্ধ। সময়গুলো যেনো কাটছেই না। মাসের পর মাস বিরতীহীনভাবে পাশপাশি দু’জন দিনরাত থাকার ফলে ছোটখাট কারণে হয়ে যাচ্ছে কথা কাটাকাটি। ব্যক্তিগত সময়ও যেন মিলিয়ে গিয়েছে। পরস্পরের ফেসবুক-মেসেঞ্জার নিয়ে সন্দেহ আর এতে দূরত্বও বাড়ছে দাম্পত্যে। কিন্তু কয়েকটা অভ্যাসে একটুআধটু বদল এনে দেখতে পরেন হয়তো পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। পুরনো সেই রোমান্টিকতা ফিরে ফিরে আসবে।
আনন্দ অবসরে: কোনো সম্পর্কই একই রকম সমান্তরাল রাখা সহজ নয়। সারাদিন দু’জন একসঙ্গে থাকলেও একটিবার কী ভেবে দেখেছেন, একে অন্যকে একান্তে কতটুকু সময় দিচ্ছেন? কতটুকু আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। হয় বাড়ির কাজ নয়তো অফিসের কাজ। যে যার মতো করে দিনযাপন করছেন। অবসর সময়টাতেও টিভি কিংবা নেটফ্লিক্স। খাওয়ার সময়ও হাতে ফোন। খেতে খেতে ঘুরছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিনের যেকোনো একটা সময় এগুলো সব বাদ দিয়ে শুধু নিজেদের সঙ্গে থেকে দেখুন না কেমন লাগে। নিশ্চিত করে বলা যায় আপনাদের ভালো লাগবে। সেটা বিকেলের চা খাওয়া, রাতে খাওয়ার টেবিলে কিংবা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পরেও হতে পারে। একবার কী ট্রাই করে দেখবেন ?
চমকে শিহরণে: দাম্পত্য জীবনে একঘেয়েমি কাটিয়ে নতুনত্ব আনতে একটু কৌশল তো লাগেই। বাড়িবন্দি সময়টাতে দু’জন পরস্পরকে কিভাবে চমকে দিবেন, ফেলে আসা প্রেমের দিনগুলোর শিহরণ কিভাবে এনে দিবেন সেটা নিজেদেরেই বের করতে হবে। তবে, হঠাৎ ক্যান্ডলনাইট ডিনার, ফ্রিজে, আলমিরার দরজায় অথবা বাথরুমের আয়নায় চিরকুটে প্রেমের বার্তা লিখে রাখুন, হুটহাট দিন। দেখবেন ভালোবাসা কতোটা রঙিন।
ইচ্ছের ডানায় নতুন : কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় বের হবেই। লকডাউনের অবসর সময় আলদা না কাটিয়ে একসঙ্গে কিছু করার পরিকল্পনা করতে পারেন। একসঙ্গে নতুন কোনো রান্না করা, ছাদবাগান করা, অনলাইনে একসাথে কোনো কোর্স করা, মাঝে মাঝে ঘরের দেয়ালগুলো নুতন করে সাজিয়ে নিতে পারেন দু’জন। দেখবেন ভালো লাগবেই লাগবে।
একান্তে কাছাকাছি : লকডাউনে তো আর ঘুরতে যেতে পারবেন না। তাই আপনার বাড়ির বারান্দা বা ছাদও হয়ে উঠতে পারে রোমান্টিক কোনো স্থান। বাড়ির পোশাক ছেড়ে সুন্দর করে সেজেগুজে মোমবাতির আলোয় নৈশভোজ করুন। কুশন পেতে দু’জনে বসে নেটফ্লিক্সে জম্পেস মুভিটাইম পার করুন। আর একটা বিষয় সব সময় মাথায় রাখবেন, সেটা হলো সঙ্গী যতই পুরনো হোক, ফ্লার্ট করা থামাবেন না। দেখবেন কী দারুণ সময় কাটাচ্ছেন।
রোমাঞ্চকর অনুভূতি: দীর্ঘদিনের দাম্পত্যে পুরনো মানুষের সঙ্গে নতুন করে আকর্ষণ তৈরি করতে চাইলে শারীরিক সম্পর্কে বিরতী দিলে চলবে না। যৌনতা একে অন্যকে খুব কাছাকাছি নিয়ে আসে।
